Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

এসপির উপস্থিতিতে সোনার বারসহ দুই চোরাকারবারী গ্রেপ্তার

চোরাকারবার রোধে হার্ডলাইনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৩:০৮ পিএম


চোরাকারবার রোধে হার্ডলাইনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

মাদক ও চোরাকারবার রোধে হার্ডলাইনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে আব্দুল্লাহ আল মামুনের যোগদানের পর থেকেই অতীতের ন্যায় এখনো হার্ডলাইনে মাদক-চোরাকারবার রোধে সোচ্চার ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট।

অপরাধ দমনে বিচক্ষণ ও দক্ষ এসপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্ব ও সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় প্রতিনিয়তই পরিচালিত হচ্ছে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গা সদর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাঁচটি সোনার বারসহ দুই চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে।

এসময় সিলভার রংয়ের একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়। একই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ (সদর সার্কেল) পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সেসময়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মুখেই আসামিদের কাছ থেকে সোনার বারগুলো জব্দ করা হয়।

এসময় এসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দু‘জনকে পাঁচটি স্বর্ণের বারসহ আটক করা হয়েছে। একইসাথে অবৈধ স্বর্ণ বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালানের পুরো সিন্ডিকেট ধরতে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে। দুজনের নামে চুয়াডাঙ্গা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাও করা হয়েছে। মামলা নম্বর- ১৫।

এদিকে সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর পুলিশ ফাঁড়ি জানতে পারে, পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধ মালামাল (স্বর্ণের বার) একটি সিলভার রঙের প্রাইভেটকারে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসছেন দুই ব্যক্তি। সে সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পুরাতন স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। সে চেকপোস্টে প্রাইভেটকার, স্বর্ণসহ ধরা পড়েন দুজন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে কামরুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও একই গ্রামের হাজি আব্দুল জব্বারের ছেলে আরিফ (৪৮)।

এরমধ্যে আরিফ ওই প্রাইভেটকারের মালিক ও চালক। আটকের পর চোরাকারবারী জুয়েল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফরিদপুর থেকে এই স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন হাজার টাকা হাজিরায় প্রাইভেটযোগে কুতুব-সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন।

প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেয়া আরিফ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, গাড়িটি জুয়েল ভাড়া নিয়েছিল। স্বর্ণের ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, আরিফ ও জুয়েল নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দু’জনেই অনেক আগে থেকেই এ কাজের সাথে জড়িত এবং এদের সারাদেশে একটা বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এআই

Link copied!