Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন, আটক ৩

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:০৬ পিএম


৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন, আটক ৩

সিরাজগঞ্জে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এক কৃষক হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা তিন হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকষ দল। এ সময় হত্যাকারিদের নিকট থেকে নিহতের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের আব্দুল মোমিন, মো. আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা।

পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের গুনাইগাতি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমানকে নিয়ে নৌকাভ্রমনে বের হন একই গ্রামের আ: মোমিন, আলাউদ্দিন ও সোহেল রানা। নৌকায় গান-বাজনা সম্পর্কিত টাকা-পয়সা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলে সাইদুর রহমানকে মাথায় আঘাত করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে ঐ তিনজন। নিহতের লাশ গুম করার জন্য গলায় পাথর বেধে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর নিকট দেড়লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে হত্যাকারিরা। ঘটনার দুদিন পর একই উপজেলার গুনাইগাতি গ্রামের পশ্চিমে কুমার ব্রিজের নিকট সাইদুর রহমানের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ক্লুলেস হত্যাকান্ডটির রহস্য উদঘাটনে দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমকে। তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন (পিপিএম, বিপিএম), আব্দুল ওয়াদুদ (পিপিএম) ও সহকারি উপ-পরিদর্শক মিন্টু সেখ (পিপিএম) বুধবার দুপুরে একই উপজেলার এলংজানি বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করে। পরে হত্যাকারিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিহতের মোবাইল ফোনসহ আলামত উদ্ধার করা হয়।

প্রেস কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) নুর আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম ও গোয়েন্দা শাখার মামলা সংশ্লিষ্ট টিম।

কেএস 

Link copied!