Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

অক্টোবর ২, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম


বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ইসরাত জাহান লিমা (২২)। তিনি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার আমড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেন লিটনের মেয়ে। গত চার বছর আগে একই এলাকার সেলিম রেজার সাথে বিয়ে হয় লিমার। পারিবারিক বিভিন্ন অশান্তির কারণে বিয়ের কিছুদিন পরেই ছাড়াছাড়ি হয় তাদের।

তারপর থেকে লিমা তার বাবার বাড়িতে থাকত এবং দিনাজপুর কেবিএম কলেজে পড়াশুনা করত। তিনি স্নাতক (সম্মান) ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকেই বিয়ে জন্য বেশ কয়েকটি সম্বন্ধ আসে লিমার।

তবে তার প্রথম স্বামী ও গ্রামের লোকদের বিভিন্ন কানকথায় সেসব সম্বন্ধ ভেঙ্গে যায়। সর্বশেষ নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া গ্রামের একটি ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয় তার। প্রথম স্বামীর চক্রান্তে ভেঙ্গে যায় সেই বিয়ে।

এসব ঘটনা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই মানসিক হতাশায় ভুগতে থাকে লিমা। শনিবার রাতে ঢাকায় চাকুরী করা তার বড়বোন লিজাকে ম্যাসেঞ্জারে একটি বার্তা পাঠায়। সেখানে লিমা বলে, ‘তোর সাথে হয়ত আর আমার দেখা হবে না। আব্বা মাকে দেখাশুনা করিস। আমাকে ক্ষমা করে দিস।’

একই ভাবে আরেকটি বার্তা পাঠায় তার আরেক চাচাতো ভাইকে। সেই বার্তায় লিমা বলে, ‘আমি চলে যাচ্ছি। আমার কাছে কেও কোন টাকা পয়সা পেলে, তার শোধ করে দিস।’

রবিবার ভোরে তার বড়বোন লিমা ম্যাসেজটি দেখে তার বাবা-মাকে ফোনে জানায়। পরে তার বাবা-মাকে নিহত লিমার শোবার ঘরের দরজায় অনেক ডাকহাক করে। তবে সে কোন সাড়াশব্দ না দেওয়ায় তার বাবা জানালায় গিয়ে দেখে ঘরের ফ্যানে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লিমার দেহ ঝুলে আছে।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত লিমার বাবা লিটন জানান, ‘তার মেয়ের নতুন কোন বিয়ের ঘর আসলেই লিমার পূর্বের স্বামী বর পক্ষ ও ঘটককে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাত এবং বিয়ে ভেঙ্গে দিত। ছেলে পক্ষ লিমাকে বাড়িতে দেখতে আসলেই তার পূর্বের স্বামী বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতো।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখছি। ঘটনা যদি আত্মহত্যা হয়, তবে তাকে আত্মহত্যায় কেও প্ররোচিত করেছে কিনা! তা আমরা তদন্ত করে দেখব।

এসএম

Link copied!