সুজন মজুমদার, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
অক্টোবর ৬, ২০২২, ১১:২৭ এএম
সুজন মজুমদার, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
অক্টোবর ৬, ২০২২, ১১:২৭ এএম
আসন্ন ১৭ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের (রামপাল উপজেলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ প্রার্থী। ১৩৩ জন জনপ্রতিনিধি এ ওয়ার্ডে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি বা সদস্য নির্বাচন করবেন। এ ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন রামপাল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্স, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. গোলাম আজম ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অসিত বরণ কুন্ডু।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড রামপাল উপজেলা। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা মোট ১৩৩ জন। ১০ টি ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যান, ৯০ জন সাধারণ সদস্য ও ৩০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ মোট ১৩০ জন জনপ্রতিনিধি। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্স তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি ক্লিন ইমেজ প্রার্থী। এলাকায় তার জনপ্রিয়ও বেশ রয়েছে। উপজেলার সবধরনের মানুষ তাকে স্বচ্ছ ও দক্ষ আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে চেনেন। তিনি আশাবাদী ভোটাররা তাকে রায় প্রদান করে সদস্য নির্বাচিত করবেন। তিনি তার দলগত অবস্থানের বাইরে রাতদিন প্রচারণায় সময় পার করছেন এবং দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম আজম ও আশাবাদী। তিনি স্বতন্ত্রভাবে হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তিনি ও তার ক্লিন ইমেজ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। শ্রীফলতলাস্থ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাতব্বর ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি তার দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে মানুষের পাশে থাকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অসিত বরণ কুন্ডু লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে। তিনি ও আশাবাদী এবারও তিনি নির্বাচিত হবেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের বরাদ্দ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুকুর সংস্কার ও নতুন পুকুর খননসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছি। তবে উন্নয়ন বরাদ্দে নয়ছয় বা অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। এবারো তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
ওয়াকিব মহল মনে করেন এবার ভােটের মাঠে ভিন্ন ধরনের মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর যারা এককভাবে অসিত বরণ কুন্ডুকে বিজয়ী হতে সহযোগিতা করেছিলেন এবার তারা প্রার্থী হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কে হাসবেন সেটি স্পষ্ট নয়। তবে কয়েকজন সাধারণ ভোটাররা বলেছেন যে যাই বলুন আমরা আমাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিবো। আমাদের মতামতের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা আমরা চাই না। কয়েকজন চেয়ারম্যান অসিত বরণকে এগিয়ে রাখলেও ভিন্ন চিত্র মাঠের হিসাবে। গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওলোট পালোট হওয়ায় এক নেতার আধিপত্যে ভাটা পড়ে। এতে নতুন সমীকরণ দেখছেন সাধারণ মানুষ। শেষমেশ লড়াইটা ত্রিমুখী হবে না কি দ্বিমুখী হয় সেটি এখন দেখার বিষয়।
ইএফ