Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

জমে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

অক্টোবর ৮, ২০২২, ০৮:৫০ পিএম


জমে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন

আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সদস্য পদপ্রার্থীরা। প্রতিটি ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তারা বিভিন্ন হাটে-বাজারে ঘুরে ঘুরে প্রার্থীদের নিজ নিজ অবস্থান জানান দিয়ে যাচ্ছেন।

সেই নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে  লড়ছেন সাজ্জাদুল ইসলাম। অটোরিকশা প্রতীক পাওয়ার পর তিনি ইতোমধ্যেই এলাকায় পুরোদমে প্রচারণায়ও নেমে পড়েছেন।

সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তারা হলেন সাজ্জাদুল ইসলাম (অটোরিকশা), এড. সানোয়ার হোসেন রুবেল (টিউবওয়েল) ও এড মোজাম্মেল হক (তালা) ।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন,১ টি পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদসহ মোট ভোট সংখ্যা ১৫৯ টি। এ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া) তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, কামরুন্নাহার লিপি (ফুটবল), ফৌজিয়া জলিল নেন্সি (হরিণ) ও সুলতানা সাজিদা ইয়াছমিন (বই)।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাজ্জাদুল ইসলাম (অটোরিকশা প্রতীক) এলাকার সুপরিচিত ব্যক্তি হিসেবে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এদিকে পিছিয়ে নেই এড সানোয়ার হোসেন রুবেল (টিউবওয়েল প্রতীক) ও এড. মোজাম্মেল হক (তালা প্রতীক)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,সদর উপজেলা থেকে সদস্য পদপ্রার্থী তারুণ্য নির্ভর, সদালাপী, যোগ্য, সাহসী ও শিক্ষানুরাগী সবার সু-পরিচিত সাজ্জাদুল ইসলাম তার নির্বাচনী এলাকার ১১টি ইউনিয়নে দিনরাত সময় দিচ্ছেন। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে প্রচার প্রচারণা করার জন্য ব্যাপকভাবে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন তিনি।

দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহি মূলক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, আমাকে যদি আবারো সদর উপজেলার সকল ভোটারগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমি উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারদের উন্নয়নকল্পে তাদের পাশে থেকে কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, সকলের পরামর্শক্রমে চলমান উন্নয়নকে আরো বেগবান করে তুলব, যে সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো উন্নয়ন হয়নি তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাব।

সাজ্জাদ বলেন,সদর উপজেলার ভোটারদের প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলেই আমাকে পুনরায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করার সুযোগ করে দিবে। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশী।

উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে সাজ্জাদুল ইসলাম জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সব জনপ্রতিনিধির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এলাকার উন্নয়নে সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। কাজের মধ্যে দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষে মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দিনের কর্মযজ্ঞ মাথায় রেখে এবারো প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের মাঠে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। জেলা পরিষদে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হলে প্রতিটি এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সামাজিক ও ধর্মীয়প্রতিষ্ঠানেসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করা যায় বলে দাবি করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন জেলা পরিষদের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এই পদে থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। কাজও করেছি। আশা করি এবারো আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো এবং এলাকায় উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো।

এসএম

Link copied!