মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবজল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভোক্তভোগিদের পক্ষে আন্দিউড়া গ্রামের দুধ মিয়া চকদার নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের প্রতিকার চেয়ে ইউপির সদস্য আবজল চৌধুরী বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, আন্দিউড়া গ্রামের পরেশ দাশের জমির নিকট থেকে হাজী শামসুল আলমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি কয়েক বছরে সরকারি টাকায় ইট সলিং করা হয়। গত কোরবানির ঈদের আগে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবজল চৌধুরী উল্লেখিত রাস্তার প্রায় ১৫০ ফুট রাস্তা সিসি ঢালাই করবে বলে রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যায়। ইট তুলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটি ঢালাই করা হয়নি। কিছু ভিটাবালু দিয়ে রাস্তার ইট তুলা জায়গা ভরাট করে দেওয়া হয়। বৃষ্টিতে রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হয়ে এখন জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী সহ শত শত গ্রামবাসি চলাচল করে। রাস্তার ইট তুলে নেওয়া ও ক্ষতি সাধন করায় ইউপি সদস্য আবজল চৌধুরীর বিচার দাবি করে দুধ মিয়া অভিযোগ পত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে বিচার দাবি করেন।
জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো: আবজল চৌধুরী জানান, অভিযোগকারী সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করতে চেয়েছিল। আমি এসিলেন্ড এর সাথে যোগাযোগ করে এটা বন্ধ করাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। রাস্তার কোন ইট তুলা হয়নি। গর্ত ভরাটের জন্য আমার নিজের টাকায় রাস্তার ইটের উপর বালু দেওয়া হয়েছে।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক জানান, স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন করে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছে। তবে মেম্বার আবজল চৌধুরী আমাকে জানিয়েছে রাস্তার এক জায়গা থেকে ইট তুলে অন্য জায়গায় একটি গর্ত ভরাট করা হয়েছে। তবে এভাবে সরকারি রাস্তার এক জায়গা থেকে ইট তুলে অন্য জায়গা ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। আমি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে বলেছি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব (সহকারী কমিশন ভূমি) মো: আলাউদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস