নুর হাকিম আনোয়ার, টেকনাফ
অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ, ঘাট মালিক ও জাহাজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে হ্নীলা ইউপির দমদমিয়া জেটি ঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রায় ৩ শতাধিক স্থানীয় লোকজন, ঘাট ও জাহাজ মালিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, টেকনাফ উপজেলার লোকজন পর্যটক ব্যবসায় প্রায় ১৯ বছর ধরে জড়িত, হঠাৎ করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধের কারণে টেকনাফের পর্যটন খাতে জড়িত প্রায় লক্ষাধিক মানবেতর জীবনযাপন ও আয় রোজাগারে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। বেকার লোকজন গুলো জীবিকার তাগিদে মাদক ও অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই অনতিবিলম্বে টেকনাফ থেকে সেন্টর্মাটিন জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান। পরে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, পর্যটন মন্ত্রী ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর দৃষ্টি আকর্ষণ করে টেকনাফ উপজেলা মিলনায়তনের সামনে উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুল হক চৌধুরীকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় জাহাজ ঘাটের রেষ্টুরেন্ট মালিক মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, কিছু স্বার্থনেষী বড় ব্যবসায়ী তাদের নিজস্ব ফায়দা লুটার জন্য টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে ওভারলোডিং করে দীর্ঘ সাগরের পথ পাড়ি দিয়ে সাধারণ পর্যটকদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘাট ইজারাদার জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ পথে জাহাজ চলাচল চালু হলে পুর্বের ন্যায় কম খরচে পর্যটকগণ সাচ্ছন্দে ভ্রমণে উৎসাহিত হবে এবং পর্যটন খাতে জড়িত প্রায় হাজার হাজার লোকজনের কর্মসংস্থান অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল আপাতত স্থগিত রয়েছে, নদীতে ড্রেজিংয়ের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিকে অবগত করা হয়েছে, আশা করছি শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
কেএস
