Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ভোট কেন্দ্রে ইউএনওকে ‘স্টুপিড’ বললেন মেয়র

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম


ভোট কেন্দ্রে ইউএনওকে ‘স্টুপিড’ বললেন মেয়র

বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে দুইটি স্থানে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত ইউএনও’র সাথে সিটি মেয়রের বাগবিতন্ডার ঘটনাও ঘটেছে।

ভোটকেন্দ্রে একসাথে একাধিক ভোটারকে নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য ইউএনও সতর্ক করতে গেলে এ বাগবিতন্ডা হয়। এ সময় ইউএনওর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেয়র। একপর্যায়ে ইউএনওরকে ‘স্টুপিডও’ বলেন সাদিক আব্দুল্লাহ।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল নয়টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক লাইভ থেকে জানা গেছে।

ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নুসহ কয়েকজনকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রের দিকে যান। প্রথমে সিটি মেয়রকে ভোট কক্ষে প্রবেশের গেটে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম একাধিক ভোটার নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে বলেন। এরপর ভোট কক্ষের সামনে সিটি মেয়র পৌঁছলে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান ভোটকেন্দ্রে একাধিক ভোটার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না বলে মেয়রকে বলেন।

এ সময় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কি ঢুকছি এখানে? কেন সিনক্রিয়েট করতেছেন? আমি কি শিশু? ভোটার হইছে ১৭৪ জন, তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়। পরবর্তীতে ওই কেন্দ্রের প্রথম ভোটার হিসেবে ইভিএমএ ভোটপ্রদান করেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান বাগবিতন্ডার কথা অস্বীকার করেছেন।

তবে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনো বিধান নেই।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়রের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মেয়রের ফেসবুক আইডির লাইভে এই ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি এখন বরিশালের ‘টক অব দ্যা সিটিতে’ পরিণত হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট সদর উপজেলা পরিষদ চত্তরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঝামেলা হয়। ওইদিন পুলিশের গুলিতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি ৪ টি মামলা হয়। পরে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে ওই ঘটনার সমঝোতা হয় উভয় পক্ষের। যা তখন দেশব্যাপী আলোচনায় ছিলো।

কেএস 

Link copied!