শেরপুর প্রতিনিধি
অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
শেরপুর প্রতিনিধি
অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
শেরপুরে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫ একর জায়গায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে শেরপুরের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি এর আগে ২০১৯ সালে শেরপুরে এসেছিলাম। তখন এখানকার সম্ভাবনার জায়গাগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটি নিয়ে শেরপুরের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের যা দাবি ছিল সেটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলাম।
তিনি সারাদেশে ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলাও রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে দৃশ্যমান হবে এবং এরপর থেকেই এ জেলার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের একটা ঠিকানা হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি পাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আপনারা জানেন নালিতাবাড়ী প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে তৃষ্ণা দিও নামে একজন আদিবাসী মেয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। তবে সে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট আর সহজলভ্য করার বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রজেক্টের মাধ্যমে কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ তার বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমরা হার পাওয়ার নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যেটির মাধ্যমে ২৫ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানেও শেরপুরের প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা থাকবেন বলে আশা করছি।
পলক বলেন, নালিতাবাড়ীর পাশাপাশি শেরপুরের অন্যান্য উপজেলাতে ‘জয় ডি-সেট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি সারাদেশের মতো শেরপুরেও বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যেটি প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন।
এছাড়া শেরপুরে দুটি ‘স্কুল অব ফিউচার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে ইংরেজি ও অঙ্ক শিক্ষা বিশেষ পদ্ধতিতে দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, ইডিসির প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলামসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএস