বড়লেখা ও জুড়িতে দোকান চুরির হিড়িক

মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ি দোকান চুরির হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। জুড়িতে ১০ ও বড়লেখায় ৫ টি অধিক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ  এখন ও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

বড়লেখা উপজেলা দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের অফিস বাজারের একের পর এক দোকান চুরি ঘটনা  ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ হচ্ছে কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত চোর চক্র থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এসব দোকান চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে আছেন।

বড়লেখায় এক রাতে ৫ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের অফিস বাজারে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অফিসবাজারের ইসলামিয়া ট্রেডার্স, সালমান ভেরাইটিজ স্টোর, সোহেল টেলিকম এন্ড কম্পিউটার, ফার্নিচারের দোকান ও আফজল পেট্রোল পাম্পে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ ব্যবসায়ীর চার লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা ও দোকানের মালামাল চুরি হয়েছে।

ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ী, সোহেল আহমদ বলেন, প্রতিদিনের মতো রাত, দশ ঘটিকার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। পরে রাত তিনটার দিকে এক সিএনজি ড্রাইভার আমার দোকানের শাটার খোলা দেখে আমাকে ফোন দিলে ঘটনা খবর পাই। পরে আমি এসে দেখতে পাই দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা। এদিকে পূর্ব জুড়ি ইউনিয়নের ১০ টি দোকান চুরি ঘটনা ঘটেছে পুলিশ ব্যবসায়ীকে তুলে আনার চেষ্টা করে  এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি সহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বড়লেখা থানায় অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান মুঠোফোনে জানান, মাদক চুরি ডাকাতির সামাজিক অস্তিরতারবড় কারন এসব নিমূলে যতটুকু করা দরকার সবটুকু করবো এ জন্য জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা দরকার।

এদিকে জুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, চুরির ঘটনায় আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছি ৪ দোকারের তালা ভাঙ্গা পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন ব্যবসায়ীকে নিয়ে আনার চেষ্টার ঘটনা সটিক নয়।

কেএস