Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ফেনীর পাঠান বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

অক্টোবর ২৩, ২০২২, ০১:২২ পিএম


ফেনীর পাঠান বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি

ফেনী পৌরসভার ‘ভিআইডি’ ওয়ার্ড খ্যাত ১০নং ওয়ার্ডের পাঠান বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির অনেক স্থানে পুরনো কার্পেটিং তুলে ফেলায় এবং কিছু স্থানে সুরকি ফেলে রাখায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঠান বাড়ী সড়ক প্রশস্তকরণ ও তৎসংলগ্ন ড্রেন উন্নয়ন প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পরে ৬ এপ্রিল সড়কটির ক্যামব্রীয়েট স্কুলের সামনে থেকে মোমিন-জাহান মসজিদ পর্যন্ত স্থানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা বিভিন্ন স্থাপনা মেয়রের উপস্থিতিতে উচ্ছেদের  মধ্য দিয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করা হয়।

এরপর ১৪ এপ্রিল সড়কটির পূর্ব অংশ ট্রাংক রোড সংলগ্ন স্থান থেকে পাঠান বাড়ী মসজিদ গেইট পর্যন্ত স্থানের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় পৌরসভা।

সড়কটির দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান, পুরনো কার্পেটিং তুলে ফেলা ও কিছু স্থানে সুরকি ফেলে রাখায় সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে পাঠান বাড়ী সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৬-৭ মাস আগে পাঠান বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়। ধীরগতিতে চলার কারণে  চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, এ সড়কে প্রায় ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সড়কের বেহাল দশায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ছাড়াও মহিলা, বয়োবৃদ্ধ ও রোগী নিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

জনৈক গৃহিনী অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে পাঠান বাড়ী এলাকায় কোন রিকশা-সিএনজি অটোরিকশা আসতে চায় না। বাড়তি ভাড়ায় রাজি হলেও যাতায়াত অতি কষ্টকর।

রিকশা চালকরা জানান, খানাখন্দের কারণে পাঠান বাড়ী সড়কে চলাচলে খুবই কষ্টসাধ্য। একটু পরপর রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আবার ওঠাতে হয়। এতে অনেক সময় রিকশা নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে পাঠান বাড়ী সড়কের নির্মাণাধীন হযরত আবু বকর জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানটি অনেকটাই নীচু এবং এ স্থানের উত্তর অংশের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা কাশেম স্টোর সংলগ্ন কালভার্টটি।
সরু এ কালভার্টটি এ সড়কের উত্তর পাশের পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই এ স্থানটি পানিতে তলিয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।

১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদ খান বলেন, পাঠান বাড়ী সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ থেমে নেই। ইতোমধ্যে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে পৌরবিধি না মেনে গড়ে ওঠা সড়কটির বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ ও গ্যাস সংযোগ পুন:স্থাপনের কারণে সংস্কার কাজে কিছুটা সময় লাগছে।

মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, ১০নং ওয়ার্ডের পাঠান বাড়ী সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হবে। এতে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

কেএস 
 

Link copied!