চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৩:০৮ পিএম
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৩:০৮ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বানিয়ার ছড়া-মগনামা সড়কের বরইতলী অংশের হারবাংয়ের ছরা ব্রিজ নামক এলাকায় সড়কের সাথে লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ কেটে লুটের মহৌৎসব চলছে। বেশকিছুদিন ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ধ্যা নামলেই স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি খনন পূর্বক শত শত ডাম্পার বোঝাই করে মাটি লুট করলেও সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা রহস্যজনক কারণে নির্বিকার বললে চলে। ফলে প্রতিদিন রাতে বিরামহীনভাবে তারা চালিয়ে যাচ্ছে মাটি লুটের মহাউৎসব।
স্থানীয় ইমাম শরীফের ছেলে নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুলের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি মাটি খেকো সিন্ডিকেট বানিয়ার ছড়া-মগনামা সড়কের বরইতলী অংশের হারবাংয়ের ছরা ব্রিজের নিকটে প্রায় ৩`শ মিটার পাউবোর বেরিবাঁধ কেটে ফেলে। বেড়িবাঁধের উপর ফলিত অর্ধশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালাও সাবাড় করে মাটি খেকোরা।
নুরুন্নবী আরও বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে রাস্তা করে বেশকিছু দিন ধরে সড়েকের সাথে লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি তুলতে তুলতে বিশালাকার পুকুরে পরিণত করেছে। আর লুট করা মাটি বিক্রি করা হচ্ছে মাতাবাড়ি কয়লা বিদ্যৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন এলাকায়।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাউবোর বেরিবাধঁটি নির্মিত হয় বানিয়ার ছড়া-মগনামা সড়কের সাথে লাগোয়া, যেটি বন্যার পানির তোড় থেকে সড়কটি রক্ষায় ভূমিকা রাখে। কিন্তু সড়ক রক্ষাকারি সেই বেরিবাধেঁ প্রায় ২`শ মিটার কেটে ফেলে মাটি খেকোরা বেরিবাধেঁর আভ্যন্তর মাটি লুট করছে।
স্থানীয়রা জানান, বেড়িবাধেঁর নিকটে মাটি কেটে বড় গর্ত করায় বেড়িবাধঁ ও সড়ক দুটিই বর্ষায় হুমকির মুখে পড়বে। একই ভাবে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে। পাউবো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সড়কেরও ক্ষতি হবে ব্যাপক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরইতলী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক অভিযুক্ত কামরুল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ওই জায়গা তাদের খতিয়ানি, মাটি তিনি নিচ্ছেন না, তিনি কয়েকজন লোককে ওই জায়গা থেকে মাটি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের দৃষ্টি গোচর করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী রাশেদ সাহেবকে বলেছি, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করবেন তিনি।
কেএস