Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রামগতিতে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৩:০৯ পিএম


রামগতিতে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার দুর্গম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর গজারিয়া, তেলির চর, নতুন আবদুল্যাহর চর, লম্বাখালীর চর, চর গাজীর বয়ার চর, বড়খেরী ইউনিয়ন, চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আসল পাড়া, বাংলাবাজার, ওয়াপদাবাজার, চর আলগী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম সহ বিভিন্ন চরাঞ্চল, অদূরবর্তী দ্বীপ সমূহে ঘূর্ণিঝড় সিত্রায়য়ের প্রভাবে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে দেয়।

এছাড়া বেশ কিছু কাচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। গাছপালা উপড়ে বসত ঘরের উপর পড়ে কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। মৎস্য চাষীর পুকুরের সমস্ত মাছ ভেসে চলে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত বাতাস ও অস্বাভাবিক পানির কারণে উপজেলার প্রায় ৭০হাজার মানুষের ঘরে পানি প্রবেশ করে বিপাকে পড়ে তারা এবং ধানের বেশ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সোমবার বিকাল থেকে নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী মানুষজন পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশুসম্পদ নিয়ে চলে আসে আশ্রয় কেন্দ্রে।

উপজেলা প্রশাসন বিকাল থেকে নদীর পাড়ের মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ ও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ব্যপক প্রচার প্রচারনা করে। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপি কর্মীরা একদিন আগে থেকেই আবহাওয়া বার্তা ও বিপদ সংকেত প্রচার করতে থাকে এবং লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ব্যপক ভাবে মাইকিং করে। উপজেলা প্রশাসন রাতে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরন করে এবং তাদের খোঁজ খবর নেয়।

সিপিপির উপজেলা টিম লিডার মো: মাঈন উদ্দিন খোকন জানান, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা জীবন বাজি রেখে আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা প্রচার করছে এছাড়া দূর্যোগকালীন ও পরবর্তী সেবা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন জানান, জোয়ারের পানিতে মাছ চাষের পুকরের মাছ ভেসে গিয়ে বেশ ক্ষক্ষয়তি হয়েছে তা নিরুপনের চেষ্টা চলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত পানি ও বাতাসে ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তুনু চৌধুরী জানান, আমরা সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছি, মানুষকে সতর্ক করার জন্য প্রচার প্রচারনা চলছে এবং প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে।

কেএস 
 

Link copied!