Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

হাটহাজারীতে পল্লী চিকিৎসককে জরিমানা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নভেম্বর ৩, ২০২২, ০২:৪৭ পিএম


হাটহাজারীতে পল্লী চিকিৎসককে জরিমানা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করে ডাক্তারি এবং মিথ্যা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করার দায়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোঃ আনোয়ার হোসেন নামে এক পল্লী চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গত বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভা এলাকার বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে বাড়ীপাড়া সড়কের শান্তি ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহিদুল আলম। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির সুয়াবিল এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, এসএসসি পাস করেই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামে এই পল্লী চিকিৎসক নিজের পরিচয় দিচ্ছেন মেডিসিন ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কয়েকটি ফার্মেসিতে রোগী দেখে আসছিলেন। এছাড়া কখনো কখনো তিনি রোগীদের শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। রোগনিরাময়ে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করে সবাইকে ধোঁকা দিচ্ছেন বহুদিন ধরে। অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করলে এর সত্যতা পায় উপজেলা প্রশাসন।

তার প্রচারিত বিজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিলো- বিনা অপারেশনে নাকের ভিতর পলিপ গোটা, মাংস বাড়া, ঘন ঘন হাঁচি, মাথাব্যথা হওয়া এবং মলদ্বারে পাইলস (গেজ), অর্শ, ভগন্দর ও রক্তপাত, পুঁইজ পড়া, টিউমার মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ইনজেকশন ও ঔষধ দ্বারা অল্প খরচে স্থায়ী চিকিৎসা করা হয়।

বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিজ্ঞাপনটি কম্পিউটার টাইপে ভুল ছিল, দীর্ঘদিন আগে ছাপানো বিজ্ঞাপনটি লাগানো হয় কিন্তু এটা আর পরিবর্তন করা হয়নি। পল্লী চিকিৎসকেরা ডাক্তার লেখবার বিষয়ে আদালতে চেষ্টা চলছে।

মেডিসিন ও সার্জারি লেখবার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমার সার্টিফিকেটে ডিপ্লোমা মেডিসিন সার্জারি উল্লেখ রয়েছে, আর বিজ্ঞাপন লেখাটি আমার ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, এলাকার জনসাধারণকে আনোয়ার হোসেন নিজের পরিচয় দেন মেডিসিন ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার বিজ্ঞাপন প্রচার করে হাটহাজারীর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়।

কেএস 

Link copied!