Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪,

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

নভেম্বর ৮, ২০২২, ১২:৩৭ পিএম


নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

সাতক্ষীরার বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসতে থাকলেও দাম আকাশ ছোয়া। লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজি, চাল, ডাল, চিনি, মুরগী, ডিম, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম। কিছু দিন ধরে সকল প্রকার সবজিতে বেড়েছে দাম।

এলাকার কাঁচা বাজারে কাঁচামালের মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে ২০/২৫টাকা বেড়েছে। বাজারে আসা শীতের সবজি সিম কেজি ৮০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০, বাধা কপি ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ৬০/৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড আলু ৫০টাকা, করলা ১০০টাকা, কচুরমুখি, ওল ৬০/৬৫ টাকা, কাকরোল ৬০টাকা, পেপে কেজি ১৫/২০ টাকা, দেশী বিদেশী টমেটো ৮০/১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, ঝিঙ্গে ৪৫ টাকা, ঢেড়শ ৩০ টাকা, লালশাক ৪৫ টাকা, পুইশাক ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আলুর দাম স্থিতিশীল হওয়ায় সবশ্রেনীর মানুষের আলুই একমাত্র ভরসা। সে হিসেবে সবজির মূল্য নিত্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। 

দেবহাটা উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিনে ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশ ছোয়া।

বাজারের এক কাঁচা মাল বিক্রেতা জানান, এবার সবজির দাম অনেক বেশী। প্রতিদিনই সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানী কম নয় কিন্ত দাম কমছে না।

দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পারুলিয়া পশুর/গরুরহাটে আসা ক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার উপর শাকসবজির মূল্য আকাঁশছোয়া। বর্তমান বাজারে ব্রয়লার মুরগী ২২০ টাকা, গরুর মাংশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর মাছতো হাত দিলেই ৪৫০ টাকা কেজি।

তিনি বলেন, তিনি দৈনিক মুজুরীতে কাজ করে ৩০০ টাকা করে পান। তাও আবার প্রতিদিন কাজ হয়না। মাসে হয়তো ১৫/২০ দিন কাজ হয়।

এদিকে উপজেলার কয়েকটি খুচরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিকট থেকে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলাতে সখিপুর বাজারসহ কয়েকটি চালের আড়ত আছে। তারা আবার সিন্ডিকেট করে ইচ্ছে মতো চাউলের দাম বা রেট নামিয়ে ইচ্ছামতো কারসাজি করে নিজেরা টাকা হাতিয়ে নেন। মোটা চাউলের কেজি ৪০/৫৫ টাকা।

সখিপুর বাজার এলাকার ৭০বছর বয়সী এক ভ্যান চালক বলেন, প্রতিদিন চাল লাগে ৩/৪ কেজি। এই চাল কেনার পর আর কিইবা টাকা থাকে তাই আলু ভর্তা, কলা ভর্তা খেয়ে কোন রকম দিন পার করছি। কি দিয়ে চাল কিনব আর কি দিয়ে অন্যান্য জিনিসপত্র কিনবো তা নিয়ে মহা চিন্তায়। তার উপর আবার বাড়িতে ঔষধ কিনতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রতিক্ষন চিন্তায় আছি কিভাবে বেঁচে থাকবো। বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদারকির দাবি জানিয়েছেন সাধারন মানুষ।

কেএস 

Link copied!