আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো
নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম
আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো
নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম
নদী ও সমুদ্র ঘেরা দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলা থেকে জঙ্গিবাদের বীজ অস্কুরেই নিমূর্ল করাসহ জঙ্গিবাদমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। এজন্য র্যাব বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে দক্ষিণের কয়েকটি চরাঞ্চলে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সূত্রমতে, দেশের ১৯ জেলা থেকে হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হওয়া ৫৫ জন তরুণের খোঁজে পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। যারমধ্যে কয়েকজন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী ও ভোলায় প্রশিক্ষণ নেয় বলে র্যাব কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে জঙ্গি সংগঠন তাদের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে প্রশিক্ষণ দেয়াচ্ছিলো। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ‘জঙ্গি মঞ্চ’ গঠনের চেষ্ঠা করছে।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, র্যাব-৮ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দাপ্তরিক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে জঙ্গিবাদ নিমূর্লে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই জঙ্গিবাদ নিমূর্লে আমাদের কার্যক্রম সব সময় চলমান রয়েছে।
দুটি উপায়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় উল্লেখ করে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিবাদ নিরোধে কিছু কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়। আর কিছু কার্যক্রম গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আমরা সম্পন্ন করে থাকি। জঙ্গিবাদ বিষয়টি অনেকটা গাছের মতো। বীজ থেকে অঙ্কুর হয়, সেটি বড় হয়, শাখা-প্রশাখা বাড়ে। তারপর তারা দৃশ্যত আক্রমণ করে।
র্যাব-৮ এর সদস্যরা সবসময় জঙ্গিবাদের বীজ অঙ্কুর থেকেই নির্মূল করার দাবি করে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন রকমের অপপ্রচেষ্টায় অন্যদেরকে জঙ্গি মতবাদে নেয়ার চেষ্টা বা উদ্যোগ গ্রহণ করে সেখান থেকেই র্যাব প্রতিহত করার জন্য কাজ করে আসছে। এ খারাপ পথে যেন কেউ না জড়িয়ে যায় সেদিকেই র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, বিভিন্ন এলাকার যেসব স্থান নির্জন যেখানে সাধারণ জনগণের যাতায়াত তুলনামূলক কম জঙ্গিবাদে বিশ্বাসীরা ওই সমস্ত জায়গা বেঁছে নেয়। র্যাব-৮ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মধ্যে ভোলার কয়েকটি চর এবং উপকূলের বিশেষ কিছু স্থান রয়েছে। এসব চরাঞ্চলে যেন এমন তৎপরতা চালাতে না পারে, সেজন্য ওইসব চরাঞ্চলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাব সদস্যরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছেন। একইসাথে আইনের আওতায় আনার জন্য জঙ্গিবাদের মদদদাতাদের শনাক্ত করার কাজ করছেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল এলাকায় র্যাব বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করে ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্র ঘেরা বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ও চরাঞ্চলে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা চলমান রয়েছে। ফলে র্যাব-৮ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাকে জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্রমতে, র্যাব-৮ এর কার্যক্রম বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলায় পরিচালনা করা হয়।
কেএস