Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৫:০২ পিএম


স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের গাগলাজুরে অবস্থিত ভাটিবাংলা হাইস্কুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নিয়োগপ্রার্থী ভুক্তভোগীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন।

বুধবার (৯ নভেম্বর) ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে তার বরাবর অভিযোগটি দেওয়া হয়।

অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বতর্মানে পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ তালুকদার আমার ছেলে সাফিউল আলমকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে ৬ বছর বিনা বেতনে কাজ করিয়েছেন। স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি এতদিন কাজ করিয়েছেন। সম্প্রতি স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে নিয়েশ অনুযায়ী আমার ছেলে আবেদন করে। পরে গত ২ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষায় এই পদে আমার ছেলেসহ সাতজন অংশ নেয়। কিন্তু স্কুলের অভিভাবক সদস্য মুজিবুর রহমানের ছেলে কর্নেল মিয়াকে এ নিয়োগ দেওয়ার জন্য ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মাফরোজা খানম। পরে কর্নেল মিয়াকে পাশ করানোর জন্য একজন শিক্ষককে দিয়ে কর্নেলের খাতয়া লিখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা। এ বিষয়টি নিয়ে ওই সময়ই আমার শ্যালক প্রতিবাদ করেন। তবে হাসি টাট্টা করে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা এটি উড়িয়ে দেন। একই স্কুলে অভিভাবক সদস্য মুজিবুর রহমানের অঅরেক ছেলে নৈশ্য প্রহরী পদে কর্মরত আছেন। টাকা খেয়ে উদ্দেশ্যমূলক নিয়োগ বাতিলসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর ভাটিবাংলা হাইস্কুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগে প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ২ নভেম্বর উপজেলার মাল্টিপারপাস হলে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পদে ৭ জন প্রার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষার সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফরোজা খানম বলেন, সাফিউল আলমকে নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সে তেমন কোন নাম্বার পায়নি। তবে পরীক্ষায় কোন অনিয়ম হয়নি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ তালুকদার বলেন, পরীক্ষায় কোন অনিয়ম হয়নি। টাকা লেনদেনের কোন ঘটনাও হয়নি। এসব মিথ্যা। সাফিউল লিখিত পরীক্ষায় নাম্বার একবারেই কম পেয়েছে। তবে তাকে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী বলেন, পরীক্ষায় আমিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ছিলেন। ওখানে কোন অনিয়ম নেই। অন্য কেউ পাশে বসে লিখে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, অভিযোগটির  বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএস 

Link copied!