Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

দখলে নান্দাইলের মুশুল্লী যাত্রী ছাউনী, দুর্ভোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৩:০৬ পিএম


দখলে নান্দাইলের মুশুল্লী যাত্রী ছাউনী, দুর্ভোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড আজ অবৈধ দখলদারাদের কবলে পড়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাস যাত্রী ছাউনীগুলোর সংরক্ষণাবেক্ষণ সহ পর্যবেক্ষনে না থাকায় প্রতি নিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। পাশাপাশি অবৈধভাবে দখল নেওয়া যাত্রী ছাউনীর অস্তিত্ব মিলছে না। যাত্রী সাধারনগণ রৌদ্রে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে যানবাহনের অপেক্ষার দূর্ভোগের যেন অন্ত নেই।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মুশুল্লী বাজার বাস স্ট্যান্ড (যাত্রী ছাউনী) রক্ষণাবেক্ষণ না করায় যাত্রী ছাউনটির অস্বিস্ত আজ বিলীন। যাত্রী ছাউনীর দেওয়ালের অনেক ইট খুলে নিয়ে গেছে। ছাউনীর ভিতরে পড়ে রয়েছে ময়লা তথা আবর্জনার স্তুপ। যাত্রীর ছাউনীর সামনে বসানো হয়েছে ছোট ছোট টংগের দোকান। সেখানে সুবজ মিয়া নামে এক ব্যাক্তি চায়ের দোকান, সমরন্দ্র নামে একজনের জুতার দোকান, আব্দুল আজিজ নামে ব্যক্তি পান দোকান ও সাইদুল নামে একজন সেলুনের দোকান দিয়েছে। এতে করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ যাত্রী সাধারনগণ রৌদ্রে পুড়তে হয় ও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। বাস স্টপে যাত্রীরা যাত্রী ছাউনীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করবে। কিন্তু বাস স্টপে যাত্রী ছাউনী অকেজো থাকায় বা যাত্রী ছাউনী না থাকায় যাত্রীদেরকে দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। এছাড়া মহাসড়কের অন্যতম ব্যস্ততম জায়গা নান্দাইল চৌরাস্তা চত্বর ও কানারামপুর বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনী না থাকায় দুরপাল্লার যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রী রৌদ্রে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়। আর বর্ষা মৌসুে আশেপাশের দোকানগুলোর বারান্দায় দাড়িয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

অপরদিকে নান্দাইল পুরাতন বাজার বাসস্ট্যান্ড ছাড়িয়ে সমুর্ত্ত জাহান কলেজের সামনে যাত্রী ছাউনী থাকায় সেখানে কোন বাস থামছে না। ফলে পুরাতন বাজার বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনী নেই, নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সামনে ব্রিজের পাড় বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন থামলেও সেখানেই কোন যাত্রী ছাউনীর ব্যবস্থা। এছাড়া নান্দাইল নতুন বাজার শহীদ স্মৃতি কলেজের সামনে যাত্রী ছাউনীর অর্ধেকটা স্থানীয় এক ব্যক্তির দখলে। যেখানে ওই ব্যক্তি কাপড় ইস্ত্রি করে থাকেন। তবে উক্ত যাত্রী ছাউনীটি শুধুমাত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যবহার করে থাকলেও বাস থামে প্রায় ২০ গজ দূরে মহসড়কের স্পীড ব্র্যাকারের (গতিরোধকের) সামনে। নান্দাইল উপজেলার অন্যতম এবং ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড নান্দাইল চৌরাস্তা। যেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দূরপাল্লার যাতায়াত করে থাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একটি বড় ধরনের যাত্রী ছাউনী স্থাপন জরুরী বলে মন্তব্য করছেন যাত্রী সাধারন। বিভিন্ন গুরুত্বুপূর্ণ বাস স্টপে যাত্রী ছাউনীর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সহ যাত্রীসাধারনগণ।

কেএস 

Link copied!