ঝালকাঠি প্রতিনিধি
নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনুকূল-প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ৫০ বছর অতিবাহিত করছে যুব সংগঠনটি।
ঐতিহ্যবাহী এই যুবসংগঠনটির ঝালকাঠি জেলা কমিটি সীমাবদ্ধ রয়েছে আহ্বায়ক কমিটিতে। সুবর্ণ জয়ন্তিতেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির মুখ দেখতে পায়নি জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট এক চিঠিতে রেজাউল করীম জাকিরকে আহ্বায়ক ও কামাল শরীফকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি করা হয় বলে জানা গেছে। ওই বছর জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এভাবেই একের পর এক আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠনটির ঝালকাঠি ইউনিট। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে কারও মধ্যে তৎপরতার ছিটেফোটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান জানান, ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ঝালকাঠি জেলায় আলমগীর হোসেনকে আহ্বায়ক ও শাহজাহান খলিফাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জেলা যুবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর দীর্ঘ দিন কমিটিবিহীন থাকার পর ১৯৯৪ সালে এম আলম খান কামালকে আহ্বায়ক এবং খসরু নোমান ও লিয়াকত আলী খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
১৯৯৭ সালে এম আলম খান কামাল মূল দলে চলে গেলে খসরু নোমানকে আহ্বায়ক এবং জাকির হোসেন ও লিয়াকত আলী খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। এ আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে ১৪ বছরেও সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হয়নি। এখনো আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলে জেলা যুবলীগের কার্যক্রম।
তিনি আরও জানান, ২০১২ সালের ১৭ জুন আমাকে আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম জাকির ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান হাবিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট রেজাউল করীম জাকিরকে আহ্বায়ক এবং কামাল শরীফকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় কমিটি। বর্তমানে এ কমিটির নেতৃত্বেই চলছে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও এখনকার যুবলীগ আগের চেয়েও অনেক শক্তিশালী ও সুংগঠিত বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন বলেন, চার-পাঁচ বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই নতুন কমিটি দেয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হয়েছি।
কিন্তু যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় এখন কোনো পদ-পদবিতে নেই। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা বলে রাজনৈতিক পরিচয় দিতে হচ্ছে। একই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠু।
ছাত্রলীগের আরো অনেক সাবেক নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এক সময় ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা ছিলাম। আর এখন আমাদের কোনো পদ-পদবি নেই। দন্তহীন বাঘের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির বলেন, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলাম। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
এ সময়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আকড়ে ধরেই আছি। পরবর্তী সময়ে জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়ে সব ধরনের কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করেছি। ঝালকাঠি জেলা যুবলীগ নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন।
টিএইচ