Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে বাঘাইছড়িতে মানববন্ধন

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি

নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০২:২৮ পিএম


৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে বাঘাইছড়িতে মানববন্ধন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও ছয় সাংবাদিকের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চত্বরে বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ইসলামী যুব সেনার সভাপতি মো. আব্দুল বারি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে কাঁটা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। এই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে সমাজের প্রভাবশালীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছেন। তারা অবিলম্বে এই আইন বাতিল এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-ঢাকাসহ সারা দেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সমাবেশে রাঙামাটির সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর কন্যা নাজনীন আনোয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফজলে এলাহীসহ ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছেন তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ডিসি বাংলো পার্ক চত্বরে অবস্থিত ‘পাইরেটস রেস্টুরেন্ট’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় নাজনীন আনোয়ারের দায়ের করা একটি মামলায় গত ৭ জুন দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরদিন জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব থাকায় আরো পাঁচ সাংবাদিক দীপ্ত টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক অনির্বাণ শাহরিয়ার, এখন টিভির খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দিদারুল আলম, জাগো নিউজের রাঙামাটি প্রতিনিধি সাইফুল হাসান এবং দৈনিক বণিকবার্তা ও সারাবাংলার রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রান্ত রনিসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক আরেকটি মামলা করেন নাজনীন আনোয়ার। এ মামলায়ও প্রধান আসামি করা হয় ফজলে এলাহীকে। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে বাদী এবং তার মা (সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু) সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ হয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

কেএস 

Link copied!