রংপুর ব্যুরো
নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম
রংপুর ব্যুরো
নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম
রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সোহেল রানার (৩২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আতালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা নগরীর ধাপ মোহাম্মদপুর আটিয়াটারী এলাকার মৃত ওহেদ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারিবারিকভাবে সুলতানা পারভিনকে বিয়ে করেন সোহেল রানা। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা সুখের জন্য উপঢৌকন হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা ও সাংসারিক আসবাবপত্র দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে আরও এক লাখ টাকা আনার জন্য সুলতানাকে চাপ দিতে থাকেন সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন। সুলতানা এতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে বিয়ের ৬মাস পর সুলতানাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে যান সোহেল। তবে মুঠোফোনে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতের খাওয়া সেরে সুজা ও তার মেয়েসহ বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন ভোরে মেয়ে সুলতানাকে ঘরে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকেন সুজা। এসময় সুলতানার মুঠোফোনও বন্ধ থাকে। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে বাড়ির পাশে পাটক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। পরে সোহেল রানাসহ তার পরিবারের নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন সুলতানার বাবা। পরবর্তীতে তদন্তে অন্যদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় শুধু সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। প্রায় চার বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দ্রুত তা কার্যকরের দাবি জানান।
এসএম