ফেনী প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৬, ২০২২, ০৭:৩৭ পিএম
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) নামের এক কৃষককে ধরে নেওয়ার ৩দিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতের কাঁটা তারের ৬৪ নং পিলারের ৯-১০ নং পিলারের একশ গজ ভিতরে মেজবাহ উদ্দিনের মরদের জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দেয়।
নিহত মেজবাহ উদ্দিন পরশুরাম পৌরসভার উত্তর গুথুমা এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় কাউন্সিলর, গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে ধান কাটাছিলেন মেজবাহ উদ্দিন।
এসময় বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে এবং মেজবাহ উদ্দিনকে পেয়ে আটক করে নিয়ে যায়।
মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম ও তার পরিবার বিষয়টি ওই দিন স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে। পরদিন সোমবার পর পর তিনবার বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফের সাথে দ্বি-পাক্ষিক পতাকা বৈঠক করলেও মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নেওয়ার বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, রোববার বিকেলে মেজবাহকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। তবে সীমান্ত এলাকায় দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বিএসএফ তাকে ফেরত না দিয়ে অস্বীকার করেন। কাউন্সিলর সুমন আরো জানান, বুধবার সকালে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সনাক্ত করে এবং মেজবাহ উদ্দিন বলে নিশ্চিত করেন।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আরিফুর রহমান জানান, ভারতের কাঁটাতারের একশ গজের ভিতরে এক তরুণের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিজিবিকে খবর দেয়। তবে ওই লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়রা দাবি করছে গত তিনদিন আগে বাংলাদেশী এক যুবককে বিএসএফ ধরে নিয়ে হত্যা করে ওই জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত তিন দিন আগে বিএসএফ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বুধবার সকালে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় বিজিবি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করবে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে ওসি জানান।
এসএম
