নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
নভেম্বর ২১, ২০২২, ০২:৫০ পিএম
নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া
নভেম্বর ২১, ২০২২, ০২:৫০ পিএম
কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় আমন ধান আবাদের ফলন নিয়ে কৃষকের মনে আনন্দের পাশাপাশি বেশী দামে ধান বিক্রি করতে পেরে চাষীরা খুমি হয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশক ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান আবাদে তেমন কোন লাভ হচ্ছে না বলেও চাষীরা মন্তব্য করছে। তবে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে এমনটি আশা করছে কুষ্টিয়ার কৃষি বিভাগ।
এদিকে কুষ্টিয়ার মাঠে মাঠে কৃষকদের ধান কাটা উৎসব শুরু হয়ে গেছে। অনেক চাষীরা তাদের কাংক্ষিত আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষীরা তাদের কাংখিত মাঠের ধান কাটা ও বিচালী বাধা নিয়ে সময় পার করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জানায়, এ বছরে আমন ধান (খরিপ-২) আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমি সেখানে আবাদ হয়েছে ৮৮ হাজার ৯১৯ হেক্টর জমি। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২১ হাজার ১৪২ হেক্টর জমি, খোকসা উপজেলায় ৬ হাজার ৭২৫ হেক্টর, কুমারখালী উপজেলায় ১৪ হাজার ১৫ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমি, ভেড়ামারায় ৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় ৪ লাখ ৫০ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন ধান উঃপাদন করে ৩ লাখ ৩৪১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা আমন আবাদে ঝুকলেও সার, কীটনাশক, ডিজেল, সেচ ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশ হয়েছে চাষীরা।
চাষীরা বলেন, সেচ, সার বীজ ও পরিচর্যার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের আমন আবাদে খরচ হয়েছে দ্বিগুন।
কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী গ্রামের চাষী সাবেক মেম্বর নওশের আলী বলেন, তিনি এবার ২বিঘা ৭ কাঠা জমিতে আমন ধান চাষ করেছে। তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা, তিনি ধান পেয়েছেন বিঘা প্রতি ১৫ মন।
অপর এক চাষী হাসান আলী বলেন, বিঘা প্রতি ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে সেখানে ধান হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ মন। আবাদ খরচ বেশী হওয়ায় এবার শুধু ধানের খড়টায় লাভ। এর পর আবার যদি ধানের মুল্য কমে যায় তা হলে লোকসান গুনবে বলে মত প্রকাশ করছে। এদিকে চালের মূল্য দিনের পর দিন লাগামহীন বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার ধানের মৌসুমে ধানের দাম বেশী হওয়ায় চালের মূল্য বেশী।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক ড. হায়াৎ মাহমুদ বলেন, আবহওয়া অনুকুলে থাকায় আমন আবাদের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা এবার ধানের মুল্য পাবে ভালো পাচ্ছে। হতাশ হবার কারন নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলায় এবার মাঠ থেকেই কৃষকেরা ধান বিক্রি করছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মন। তবে প্রকার ভেদে ধানের দাম আরো কমে বিক্রি হচ্ছে।
কেএস