Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বশেফমুবিপ্রবিতে ১৯ দিন পর ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর প্রতিনিধি

নভেম্বর ২১, ২০২২, ০৬:২১ পিএম


বশেফমুবিপ্রবিতে ১৯ দিন পর ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষকেরা গত ২ নভেম্বর থেকে উপাচার্যের অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছিল। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।

শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষকদের আন্দোলনের আহ্বায়ক ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। তবে ১০ দফা দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান প্রফেসর ড.সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) উপাচার্যের নিয়োগের মেয়াদ শেষে চলে গিয়েছেন তিনি। তবে নতুন উপাচার্য হিসেবে এখন পর্যন্ত কেউ নিয়োগ পাননি।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আল মামুন সরকার বলেন,গত ২ নভেম্বর থেকে ১০ দফা দাবি ও উপাচার্যের অপসরণের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সোমবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা ফিরে যাবো, তবে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে। অবস্থান কর্মসূচি সহ নানান ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে ১০ দফা দাবিতে।

ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন,‍‍` গত ১৯ দিন ধরে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। হল থেকে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা চলে আসতে শুরু করেছেন হলে।‌

শিক্ষকদের আন্দোলনের আহ্বায়ক ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ক্লাস-পরীক্ষা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ফিরে যাচ্ছি আমরা। তবে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে। তিনি আরো বলেন, সদ্য পলায়নকারী উপাচার্য ড.সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ কে পুনরায় নিয়োগ না দিয়ে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষাবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতিকে।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর শিক্ষকেরা ১০ দফা দাবি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কর্মবিরতি পালন শুরু করেন । পরে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষকেরা ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেন। টানা ৪ ঘণ্টার আলোচনায় কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারিনি। ৮ নভেম্বর উপাচার্যের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নিয়োগ‌সহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। উপাচার্যের অপসারণ ও ১০ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকেরা।

এসএম

Link copied!