কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৩:১৮ পিএম
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৩:১৮ পিএম
কেন্দুয়ায় কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব জমে উঠেছে। সবুজ মাঠ সোনালি রঙের পাকা ধানে ভরপুর। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। কৃষকের উঠোনে সোনা রাঙা ধানে শোভা পাচ্ছে। বাড়ির আঙিনায় নতুন ধান ঘরে তুলতে মহা ব্যস্ত দিন পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। এক দিকে ধান কাটা আর অন্য দিকে ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ নিয়ে মাঠে কাজ করছেন শ্রমিক ও কৃষকেরা। খেতে কেউ ধান কাটছে আবার কেউবা ধানের আঁটি বাঁধছে। আবার কেউ ধানের আঁটি মাথায় নিয়ে উঠোনে তুলছে। ধান মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন কৃষাণীরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। হাটে-বাজারে ধানের দাম এখন ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। হিসাব কষে এবার লাভের কথাই ভাবছেন তাঁরা।
গ্রামে গ্রামে নবান্নের আনন্দে নতুন ধান ঘরে তুলতে কৃষাণ-কৃষাণীরা দম ফেলার সময় নেই। নতুন ধান বিক্রি করে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য শীতের কাপড় কিনবেন এমন কথাও বলছেন অনেকেই। এ বছর চালের বাজার চড়া থাকায় ধানের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় গেল বছরের মতো এবার লোকসানের আশঙ্কা নেই।
উপজেলার চিথোলিয়া গ্রামের কৃষক হুসেন আলী বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি ধানের বাজারও চাঙা। তাই লোকসান হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানান তারা। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে ভাবে বেড়েছে সেই হিসাবে ধানের দাম প্রতি মন ১৫০০-১৬০০ হলে ভাল হত।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ জানান, এ বছর `ব্রি-৪৯ `, `ব্রি-৫১ `, `রনজিত`, আগে ভাগে পেকেছে। অন্য জাতের ধানগুলোও পাকতে আরও সপ্তাহ খানিক সময় লাগবে। এ বছর একর প্রতি ফলন হয়েছে ৫০-৫৫ মণ। সরকারি বাজার মূল্য প্রতি মন ধান ১১২০ টাকা। যারা আগাম জাতের ধান লাগিয়ে ছিলেন তারা ধান কেটে বিভিন্ন রবি ফসল করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি বান্ধব সরকারের নানা মুখী উদ্যোগের ফলে কৃষকের মাঝে বোরো ধান চাষে আগ্রহ ও বেড়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘সরকার সঠিক সময়ে ধানের বাজার মূল্য ঘোষণা করেছে। সরকার আমন ধানের বাজার মূল্য ১১২০ টাকা নির্ধারিত করেছে। আমরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করব। যাতে কৃষকেরা তাদের ঘাম ঝরানো ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়।
কেএস