Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫,

পশুর নদীতে রিং বাঁধ নির্মাণ

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৬:১৮ পিএম


পশুর নদীতে রিং বাঁধ নির্মাণ

অবশেষে পশুর নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ২শত মিটার বেড়িবাঁধের পাশদিয়ে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে নদীর পানি উঠা বন্ধ করা হয়েছে। নদী গর্ভে গৃহহারা ১৫টি পরিবারের প্রায় অর্ধশত লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ তার নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে এবং কেউ কেউ বেড়িবাঁধের উপর পলিথিন টানিয়ে মানবেতর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া নদীর পানিতে প্লাবিত হওয়া দুইটি গ্রাম ১৯টি কাঁচাঘর বাড়ির ধসে পড়েছে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার দিবাগত ভোর রাতে পশুর নদীর প্রবল ভাটার টানে উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের পাখালী গ্রামে পাউবোর ২শত মিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধসহ ১৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়। নদী ভাঙ্গন স্থানে পাউবো পরের দিন বুধবার দুপুরে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে শ্রমিক নিয়ে কাজ করলেও পশুর নদীর জোয়ারের তোড়ে তখন রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরে আবারও ভাটার সময় কাজ করে বৃহস্পতিবার উক্ত স্থানের রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি উঠা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। পাউবো কর্তৃপক্ষ ওই স্থানের রিং বেড়িবাঁধটি টেকসই করার জন্য এখনোও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, শ্রমিকের মাধ্যমে দুইদিন ধরে নদী ভাঙ্গন স্থানে কাজ করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের বিকল্প পাশ দিয়ে অবশেষে রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে ওই রিং বেড়িবাঁধটি টেকসই করার জন্য এখনো পাউবো’র নেতৃত্বে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন,লোকালয়ে পানি উঠা বন্ধে উক্ত স্থানে সর্বাক্ষনিক তদারকির পর পাউবো’র মাধ্যমে রিং বাঁধ নির্মাণে পানি উঠা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসনে জন্য কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এসএম

Link copied!