Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন, দামেও খুশি কৃষক

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০১:১৬ পিএম


রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন, দামেও খুশি কৃষক

প্রতিকূল আবহাওয়া, সার সংকট ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার চাষিরা সম্পূরক সেচ ও বাড়তি শ্রমের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে আমনের ভালো ফলন পেয়েছে।

চলতি মৌসুমে ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপজেলার চাষিরা বেশ খুশি।

বৃষ্টি-নির্ভর আমন চাষের রোপণ ও বেড়ে ওঠার সময় সার সংকট, অল্প বৃষ্টিপাতের কারণে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনে আশঙ্কা ও সেচের বাড়তি খরচের কারণে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এ এলাকার কৃষকরা।

তাদের হাড়ভাঙ্গা শ্রমে ধান কাটা ও মাড়াই এই সময়ে শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিগত বছরের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আমন চাষিদের মুখে হাসি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২১ হাজার ৬শ ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, উফশী জাতের ১৬ হাজার ২০৫ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমি।

উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গরকতগাঁও গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৮)জানান, তিনি ১০ বিঘা (৫০ শতক) জমিতে আমন চাষ করেছেন।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক বিঘা জমিতে আমন চাষে সাধারণত ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। এই মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে, মজুরি মুল্য বৃদ্ধি এবং ডিজেলচালিত পাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ায় বিঘা প্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ১০ বিঘা জমি চাষে তার খরচ হয়েছে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা এবং ধান পেয়েছেন তিন শো মণ। প্রতি মণ ধান ১১০০ -১২০০ টাকা দরে বিক্রি করে প্রায় তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা পেয়েছেন। এতে তার লাভ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

এসময় তিনি আরও বলেন, এখন গম ও ভুট্টা চাষের জন্য খেত প্রস্তুত আমনের ভালো দাম পাওয়ায় গম ও ভুট্টা চাষে বেগ পেতে হবে না।

উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কৃষক সফিউর রহমান বলেন, আমনের ফলন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়েছে,দামও ভালো থাকায় পরবর্তী কৃষি কাজে বেগ পেতে হবে না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সন্জয় দেবনাথ জানান, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকা সত্ত্বেও চারা রোপণ ও ফসল বৃদ্ধির সময় সরকারি সহায়তা ও কৃষকদের অতিরিক্ত শ্রমের প্রচেষ্টার কারণে ভালো ফলন ফলানো সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন,গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমনের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। চাষীরা ঘরে তুলতে শুরু করেছে তাদের কষ্টার্জিত ফসল। এ বছর এই উপজেলায় ২১ হাজার ৬শ ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এতে একর প্রতি ৫৫-৬০ মণ ধান চাষীরা গোলায় তুলতে পারবে।

কেএস 

Link copied!