Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রাঙ্গামাটিতে বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৪:০৪ পিএম


রাঙ্গামাটিতে বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন

পার্বত্য চুক্তিতেই এমন কিছু ধারা সংযোজিত হয়েছে যা বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান ও প্রচলিত বহু আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। একই সাথে তা বৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক। তাই পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য ২৬টি জাতীয় আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট ১২টি আইনসহ মোট ৩৮টি আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও মহিলা পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলে একে একে কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস, জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসিত), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের কাছে পাহাড়ী বাঙালীরা জিম্মি। পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির মূলে রয়েছে পাঁচটি সশস্ত্র গ্রুপ। এ পাঁচটি গ্রুপের মধ্যে যতদিন সশস্ত্র সংঘর্ষের অবসান না হবে ততদিন পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে না।

মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সহ-সভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, যুগ্ন সম্পাদক আমীর মোঃ সাবের, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন  কবির, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা বেগম, ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুনসহ নেতাকর্মীরা।

বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন করে চুক্তির পুর্ণঃ মূল্যায়ন করার দাবীসহ পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় জন্য প্রত্যাহারকৃত নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প পূণঃস্থাপনের জোর দাবি জানান।

কেএস 

Link copied!