Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বছরের ব্যবধানে চিকিৎসা সেবায় দীর্ঘ উন্নতি

মো. সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

মো. সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০২:৫৯ পিএম


বছরের ব্যবধানে চিকিৎসা সেবায় দীর্ঘ উন্নতি

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩১ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পৌরসভার অদূরে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নে এই হাসপাতালটি অবস্থিত। হাসপাতালটির দায়িত্বে শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে কয়জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন পূর্বের দিনগুলির চেয়ে এবারের কর্মকর্তার যোগদানের পর হাসপাতালের পুরোচিত্র সহ পাল্টে গেছে চিকিৎসা সেবার মান। কমেছে দালালদের উৎপাত।

সরেজমিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন তথ্যানুযায়ী, বিগত দিনে এ হাসপাতালটিতে মাসে গড়ে ১-২টি সার্জারির মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রায় গড়ে ২০-২৫টি সার্জারি (প্রসব) করানো হয়। এই কমপ্লেক্সে গত ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর যোগদানের পর থেকে ডাঃ মো. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বেড অকুপেন্সি রেট ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ১০২ শতাংশে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আগে যেরকম অপরিষ্কার ছিলো বর্তমানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকায় রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, হাসপাতালের প্রধান ফটকে কমপ্লেক্সের নাম সম্বলিত নতুন সাইনবোর্ড ও লাইট স্থাপন।

গত করোনাকালে করোনা নমুনায় জেলায় সর্বোচ্চ রেকর্ড এবং টিকা প্রদান করা হয়েছে, যেটি চলমান রয়েছে। গত চলতি বছরের দুই মাসের জরিপে জানা যায়, আগস্টে সপ্তাহে সিজারিয়ান সেকশন ৬ দিন হয়। উক্ত মাসে সর্বোচ্চ ২৩টি এবং সেপ্টেম্বরে ১৫টি প্রসবজনিত সার্জারি (সিজার) এবং নরমাল ডেলিভারী সপ্তাহে প্রতিদিনই করা হয়।

ডিএসএফ কার্ড বিতরণের মাধ্যমে গরিব গর্ভবতী মহিলাদের বিনামূল্যে সিজার এবং নরমাল ডেলিভারী করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসেই ২০৬টি ডিএসএফ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে যা স্বাস্থ্য বিভাগের ইতিহাসে মির্জাপুরে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেকর্ড। এনসিডি কর্ণার পূনরায় সংযোজন করার ফলে হাই-প্রেসার, ডায়াবেটিকস্, এ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে সেবা এবং এক বছরের ওষুধ দেয়া হয়।

৩০-৬০ বছরের বিবাহিত নারীদের জরায়ু পরীক্ষায় ২০২১ সালে টাঙ্গাইল সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং টাঙ্গাইলের সব উপজেলার চেয়ে মির্জাপুর দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। বর্তমানে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৮৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া উক্ত কমপ্লেক্সে পদশূন্য ডাক্তার ২ জন, স্বাস্থ্য সহকারী ২৯জন, অফিস সহকারী ৩ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ২ জন ও নিরাপত্তাকর্মী পদে ১ জন পদশূন্য রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের কাছে পৌছে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমিসহ কমপ্লেক্সের সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার পাশাপাশি সরকারি সকল সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করছি। 

এআই

Link copied!