Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নকল ধরা পড়ায় তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ল ছাত্রী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম


নকল ধরা পড়ায় তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ল ছাত্রী

গণিত বিষয়ের উত্তর হাতে লিখে কেন্দ্রে আসে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত আক্তার। কিন্তু সেই উত্তরপত্রসহ শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ে যায়। এরপর ওই ছাত্রীর খাতা নিয়ে যাওয়ায় তৃতীয় তলার পরীক্ষা কেন্দ্রের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ছাত্রী।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মজুপুর এলাকার হাজী আমজাদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

লাফ দেওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় জান্নাতকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে মজুপুর এলাকার মুরাদ হোসেনের মেয়ে ও ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

হাতে লেখে আনা নকল দেখে উত্তরপত্রে লেখার সময় জান্নাত পরীক্ষকের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লে পরীক্ষক তাকে পরীক্ষায় বসতে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সে লজ্জায় পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছুটে বেড়িয়ে গিয়ে বিদ্যালয় ভবনের ৩য় তলার বারান্দা থেকে নিচে লাফ দেয়।

শিক্ষকেরা জানান, রোববার সপ্তম শ্রেণির গণিত পরীক্ষা ছিল। অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জান্নাতও পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে ৪টি অংক হাতে লিখে আনে। এরমধ্যে দুটিই পরীক্ষায় এসেছে। হাতে লিখে আনা অংকগুলো দেখে দেখে খাতায় তুলছিল। পরীক্ষক আরিফ হোসেন দেখে তার থেকে উত্তরপত্র নিয়ে নেন। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানান। পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় জান্নাত শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করে। একপর্যায়ে লজ্জায় সে ছুটে বেড়িয়ে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে নিচে ঝাঁপ দেয়।

শিক্ষার্থীর মা শাহিনুর বেগম বলেন, নকল ধরা পড়ায় পরীক্ষা থেকে জান্নাতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই কারণেই সে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরীক্ষক আরিফ হোসেন জানান, নকল ধরা পড়ার পর তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে হঠাৎ করে বারান্দা থেকে লাফ দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, নকল ধরা পড়ার বিষয়টি পরীক্ষক আমাকে জানায়। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ছাত্রী বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

কেএস 

Link copied!