ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম
ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রামে মিলছে বিচিত্র সব খেজুরগাছের সন্ধান। সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা ও কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে ৯ ও ১০ মাথাওয়ালা খেজুর গাছের পর এবার কোটচাঁদপুরে মিলেছে ২২ মাথা বিশিষ্ট খেজুর গাছ। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাঁড়িয়ে থাকলেও ওপরে তাকালেই দেখা যায় ২২টি মাথা সমেত ব্যতিক্রমী এক খেজুরগাছ।
খেজুরগাছটির প্রত্যেকটি মাথায় আলাদা আলাদা সতেজ পাতাও বিদ্যমান। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ গাছটিকে একনজর দেখতে ভিড় করে। এমন আজব খেজুরগাছটির মালিক ওই গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সী। গাছটির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের একপাশে মেহগনি ও আম বাগানের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ২২ মাথা ওয়ালা একটি খেজুরগাছ। দেখে মনে হয় কোনো শিল্পী যেন ফুলদানিতে গাছটি সাজিয়ে রেখেছে। অবাক করার বিষয় গাছটির মূলের চেয়ে ২২ গুণ ভারি মাথা নিয়েও আকাশ পানে সোজা দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় খেজুরগাছটি থেকে রস আহরণ করা গেলেও এখন আর হয় না।
বহরমপুরে বাগানের প্রায় শতাধিক মেহগনি গাছের মধ্যে এই ২২ মাথার খেজুরগাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এখনও জীবিত আছে এর ১৪টি মাথা।
স্থানীয় কৃষক আব্বাস আলী মন্ডল জানান, এই গাছটিতে খুব সাপের উপদ্রব ছিল। যার কারণে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করা যায় না। আবার সাপের কারণে খেজুরগাছে ফল ধরলেও সেগুলো পাড়া যেতো না। গাছেই ফল পেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এক সময় এতো মাথা হয় যে গণনা করাই মুশকিল হয়ে যায়। কিছু মাথা মারাও গেছে এখন ১৪টি মাথা জীবিত আছে। তবে এই গাছটি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, এটি গাছের একটি জেনিটিক সমস্যা। হরমোন জনিত কারণে এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা-প্রশাখা হতে পারে। তবে এমন ঘটনা খুবই কম হয়।
কেএস