শিল্পপতি নূরুল ইসলামের মৃত্যু বার্ষিকী আজ

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সদস্য, নিউটেক্স ডাইং প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শিল্পপতি নূরুল ইসলামের ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। তিনি ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে হৃদরোগের ক্রিয়াযন্ত্র বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

জানা যায়, ১৯৫৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেড়ামারা গ্রামের আজিজুর রহমানের ঘর আলোকিত করেন নুরুল ইসলাম। ১৯৮৪ সালে ঢাকার মিরপুরে এ.এন গার্মেন্টস লিমিডেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যবসা জীবনে পা রাখেন। এরপর এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নির্বাচিন হন। পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় বৃহত্তর বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সবশেষ সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মির্জাপুর উপজেলা আ.লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রয়াত এমপি একাব্বর হোসেনের চেয়ে ১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এই আসন থেকে তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমেরিকাসহ কয়েক দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে যোগ দেন। তার রাজনৈতিক জীবনে মির্জাপুর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নের আ.লীগের দলীয় কার্যালয়, টেলিভিশন, টেবিল-চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বিতরণ করেছেন। রাজনীতি ও ব্যবসার পাশাপাশি তিনি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লাবে অনুদানসহ অসহায় মানুষের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন।

আজ ৮ই ডিসেম্বর তার ১২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তার একমাত্র পুত্র সন্তান শিল্পপতি সারফুল ইসলাম রাসেল বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ঢাকার একটি মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। দেশবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

এ দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, শিল্পপতি নূরুল ইসলাম স্মৃতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান মেহরাব ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. সানোয়ার হোসেনসহ রাজনীতিবিদ ও অনেকেই তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

ইএফ