Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

পুলিশ ও ৯৯৯ -এ ফোন দিয়ে মেলেনি সেবা, প্রতিবাদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম


পুলিশ ও ৯৯৯ -এ ফোন দিয়ে মেলেনি সেবা, প্রতিবাদ

গাইবান্ধায় পুলিশের কাছে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পৌরসভার চকমামরোজপুর এলাকার ভুক্তভোগি সাজেদুর রহমানের পরিবার।

এসময় লিখিত বক্তব্যে সাজেদুর রহমান উল্লেখ করেন, তার চাচা নান্টু মিয়ার সাথে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে জমিজামা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার বিকেলে অন্যায়ভাবে তাদের বাড়ির জমি দখলের পায়তারা করতে থাকে নান্টুগংরা। এক পর্যায়ে তারা জমিতে প্রবেশ করে ইটের প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। অথচ ওই দিন বিকেলেই বিবাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানায় উভয় পক্ষের বসার তারিখ ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা অন্যায়ভাবে জমি দখলে নামে তারা। এমন বিষয়টি জানতে পেরে একাধিকবার গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে অবগত করে অনুরোধ জানানো হয়।

তাদের জোরপূর্বকভাবে নির্মাণ করা কাজে বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উপর হামলা করার প্রস্তুতিও ছিল তাদের। এজন্য তারা লোহার রড, স্টিলের পাইপ, দা-বটি নায়ে ভারাটে গুন্ডাও ডেকেছিলেন নান্টুরা। আমরা এমন বিষয়টি টের পেয়ে মারাত্মক আশঙ্কা থেকে দফায় দফায় ফোন করি সদর থানা পুলিশকে। তাতেও কোনো সেবা না মেলায় ফোন করা হয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। দুই দফায় ৯৯৯ নম্বরেও ফোন দিয়েও আসেনি পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে জোরপূর্বকভাবে করা ওই নির্মাণ কাজে আমিসহ কয়েকজন মিলে বাঁধা দিতে গেলে পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া তাজুল ইসলাম নান্টু মারার হুকুম দেয়। পরে তাজুল ইসলাম নান্টুসহ ভারাটে সন্ত্রাসীরা আমিসহ আমার ভাইদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।

এক পর্যায়ে রাজিব নামের এক ব্যক্তি ধারালো ছোরা দিয়ে আমার ভাই মমিনুল ইসলাম বাবুর মাথায় চোট মারে। এতে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইমরান নামের আরেক ব্যক্তি লোহার পাইপ দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু মাহফুজার রহমানের মাথায় আঘাত করলে তিনিও গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এদিন ঘটনায় অন্তত ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদের সবাইকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, তার পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। অপরপক্ষে কেউ কোন ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। অথচ উল্টো সাজেদুরদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মলনে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া পুলিশকে একাধিকবার ফোন করেও তারা কেন কোনো ব্যবস্থা নিল না বা হাজির হলনা? বিষয়টি খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে সদর ঘটনায় তিনিও বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন বলে জানান সাজেদুর রহমান।

কেএস 

Link copied!