Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

বাল্যবিয়ে: কাজী ও কনের বাবা গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ১১:৪৫ এএম


বাল্যবিয়ে: কাজী ও কনের বাবা গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় কাজী ও কনের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের  সুখদেবপুর গ্রামের কাজী সাকিব আহমেদ (২৬), একই ইউনিয়নের  বরুংকা গ্রামের কনের বাবা রাসেল চৌধুরী (৪৩)।

বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বরুংকা গ্রামে এ বাল্য বিয়ে ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  রুমানা রহমান পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজীকে আটক করে থানায় রাখেন।

পরে বুধবার সকালে এ ঘটনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  রুমানা রহমান বাদী হয়ে কাজী সাকিব আহমেদ, কনের বাবা রাসেল চৌধুরী, বর মাহমুদুল হাসান (২৩) ও তার ভাই  মাহবুব হাসান এ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরপরই দুপুরে কনের বাবা রাসেল চৌধুরীকে থানা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বর ও তার ভাই পলাতক রয়েছে।

প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বরুংকা গ্রামে রাসেল চৌধুরীর মাদ্রাসায় পড়–য়া নাবালিকা মেয়ে সাথে পৌরশহরের দৌলতপুরের মাহমুদুল হাসানের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়। খবর পেয়ে সহাকারী সহকারী কমিশনার ভূমি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  রুমানা রহমান পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে কাজী সাকিব আহমেদকে আটক করেন। পরে সকালে এ ঘটনায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  রুমানা রহমান বাদী কাজী, কনের বাবা, বর ও বরের ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পর দুপুরে থানায় ডেকে এনে কনের বাবা রাসেল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় কাজী ও কনের বাবাকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, মঙ্গলবার রাতে বাল্য বিয়ের খবর পেয়েই সহকারী কমিশনার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। অনেক রাত পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কথাবর্তা বলতে হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরই কাজীকে আটক করা হয়। সকালে অনেক তদবীর হয়েছিল মামলা না করার জন্য। কিন্তু কোনকিছুকেই পাত্তা দেইনি। অনেক কৌশলে বাল্য বিয়ে হয়ে যায়। সহজে ধরা যায় না। এবার যেহেতু হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাই এই শাস্তিটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। শাস্তির ভয়ে এমন কাজ করতে আর সহজে কেউ সাহস পাবে না।

কেএস 

Link copied!