ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৩:০৬ পিএম
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৩:০৬ পিএম
হাওর অঞ্চলের ইটনায় আগাম বন্যার পানি চলে যাওয়ায় একটু উচু জমিতে আমন রোপা আমন ধান চাষাবাদ করেছিলো হাওরের কৃষক। উপজেলায় ইটনা সদর, মৃগা, চৌগাংগা, বড়িবাড়ি, বাদলা, রায়টুটী, ধনপুর, এলংজুরী ও জয়সিদ্ধি সহ মোট ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।
ইটনা উপজেলায় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় ৬ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার একশত মেট্রিক টন চাউল উৎপাদিত হবে। সোনালী ফসলে ভরা আমনের মাঠ। মাড়াই আর কর্তনে ব্যস্ত সময় পাড় করছে ইটনা উপজেলার আমন চাষীরা।
ইটনা সদর এলেকার কৃষক মোঃ লতু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, আমি ২৪ একর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ করেছি। আমনের ফসল খুবই ভালো হয়েছে তবে বীজ তলা তৈরী করতে না পাড়ায় খরচ একটু বেশি হয়েছে।
ইটনা সদর বানিয়া হাটির কৃষক তারাজ আলী বলেন, আমি ৫০ শতক জমিতে আমন রোপন করেছিলাম। ইতোমধ্যে কর্তন করা হয়েছে আমার ৫০ শতক জমিতে শুকিয়েও ২৫ মন ধান হবে।
কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, আমি ৩ একর জমিতে আমন রোপন করেছি প্রতি একরে ৪০ থেকে ৪৫ মন দর আমন উৎপাদন হয়েছে। প্রতি একর জমিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে নিজে বীজ তলা তৈরী করতে পারলে খরচ আরও কম হতো।
ইটনা সদর ইউপি সদস্য রাশিদ মিয়া বলেন, আমার জীবনে হাওরে আমন চাষ করতে দেখি নাই। আমনের ফসল খুব ভালো হয়েছে আমি ৬০ শতক জমির খর এক কৃষকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।
ইটনা উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী উদ্ভিদ সহকারী কর্মকর্তা মাহাবুব ইকবাল বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ হেক্টর জমির ফসল কর্তন করা হয়েছে। বাকী জমির ফসল খুব শীঘ্রই কৃষকেরা কর্তন করে সোনার ফসল ঘরে তুলে নিবে খুব শীঘ্রই। এবছর অল্প পরিসরে হাওরে আমন রোপন হলেও আগামী বছর হাওরে আমন চাষ করার জন্য ইতোমধ্যে কৃষকেরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
কেএস