পূর্বাচল প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
পূর্বাচল প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম
পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার পরে প্রথম ছুটির আজ দ্বিতীয় দিন। ছুটির দিনে সাধারণত উপচে পড়া ভিড় থাকে বাণিজ্য মেলায়। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। তীব্র শীতের কারনে ছুটির দিনের শুরুতে লোকজন কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে তবে বেলা বারার সাথে সাথে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।
সকাল ১০টায় মেলা পরিদর্শন করে দেখা গেছে কুয়াশায় আচ্ছন্ন মেলা প্রাঙ্গণ পাশাপাশি কনকনে শীত উপেক্ষা করে টিকেট কেটে প্রবেশ করছে দর্শনার্থী ও মেলার বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মেলা শুরু হওয়ার আগেই রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত উপেক্ষা করে ছুটির দিন হওয়ায় অফিস ও কাজের চাপ না থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আসেন মেলায়। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও দলবেঁধে মেলায় চলে আসেন। নানা বয়সী আর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। ক্রেতাদের ভিড়ে হিমশিম খেতে হয় প্যাভিলিয়ন ও স্টলে দায়িত্বরতদের।
গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের পাশাপাশি রাজধানীতেও দেখা দিয়েছে কনকনে শীত। এর ফলে এই কনকনে শীতে অনেকেই ঘর থেকে বেড় হচেছে না। তবে বিক্রেতারা হাল ছাড়তে রাজি নন। তারা বলছেন, সকালের দিকে না হলেও বেলা গড়ার সঙ্গে ক্রেতা ও দর্শনার্থী বাড়ছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় কেউ কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। আবার অনেকেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেলফি তুলছেন, পণ্য কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মররত সাহেদ সরকার ঢাকা থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। আমার সংবাদ কে বলেন, স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণটি অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে ছবি তুলেছি, কিছু কেনাকাটাও করেছি, যদিও এবার একটু শীত বেশি তাও সবমিলিয়ে ভালোই লেগেছে।
গাজীপুর থেকে আসা আবদুল খালেক মিয়া বলেন, গত বছর মেলায় এসেছি এবার আসা হয়নাই আজ ছুটির দিন তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। ভালো লাগছে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি দেখে গতবারের চেয়ে স্টল বেশি সাজিয়েছে আরও সুন্দর করে।
এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে এখানে স্থায়ীভাবে এই এক্সিবিশন সেন্টারটি তৈরি করায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ সবদিকেই জন্য সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি গাজীপুর থাকি, সেখান থেকে এখানে আসতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। এই মেলা শেরেবাংলা নগরে হলে পরিবার নিয়ে আমার মেলায় যেতে কষ্ট হতো। কিন্তু এখানে মেলা হওয়ায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ সব এলাকার লোকজনের আসতে সুবিধা হয়েছে।
কেএস