চাঁদপুর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
চাঁদপুর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। শীতের তীব্রতার পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও বেড়েছে। গত কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-চাঁদপুরগামী লঞ্চ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ এই রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি বিলাসবহুল লঞ্চ আস-যাওয়া করে।
বিআইডাব্লিউটিএর নির্দেশনা মোতাবেক ঘনকুয়াশায় সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার কথা থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে লঞ্চের নির্ধারিত সময় ধরে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। লঞ্চের মাষ্টাররা জানিয়েছেন ঘনকুয়াশার চাইতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে বেশী বিঘ্নতা সৃষ্টি হয় বালুবাহী নৌযানে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) চাঁদপুর লঞ্চেঘাটে গিয়ে দেখাগেছে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমভি ঈগল-৭। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। এই লঞ্চের টিকিট মাষ্টার ইসমাইল হোসেন জানান, ঘনকুয়াশায় লঞ্চ র্নিধারিত সময় পৌঁছাতে পারে না। কুয়াশা বেশী দেখাদিলে অপেক্ষা করতে হয়। তবে গত দুইদিন কুয়াশা বেড়েছে।
সদরের বাগাদী থেকে আসা ঈগল লঞ্চের যাত্রী শোহরাব হোসেন জানান, কর্মের কারণে রাজধানীতে যেতে হচ্ছে। লঞ্চছাড়া অন্য বাহন আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও যাওয়ার জন্য চলে এসেছি।
এমভি জমজম-৭ এর মাষ্টার সাইফুল ইসলাম জানান, ঘনকুয়াশা থাকলেও আমরা সতর্ক থাকি। জাহাজে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। সেগুলো ব্যবহার করে চলাচল করতে হয়। তবে রাতের বেলায় মেঘনায় বালুবাহী বাল্কহেডগুলো খুবই সমস্যা করে। এগুলো রাতের বেলায় চলাচল বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এমভি আব-এ-জমজম-১ এর মাষ্টার শহীদুল্লাহ জানান, ঘনকুয়াশায় শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চই নয়, সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা কথা। আমরা যাত্রীদের অনুরোধে চালাতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী চিকিৎসা জন্য ঢাকায় যায় এবং বিদেশগামী যাত্রীও থাকে। যে কারণে তাদের অনুরোধ রাখতে গিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে। তবে কুয়াশার মধ্যে সবচাইতে বেশী সমস্যা করে বালুবাহী নৌযানগুলো। তাদের জন্য জাহাজ চালানো খুবই কষ্ট কর এবং ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়।
লঞ্চমালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এই রুটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করার কথা থাকলেও তারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম মানছেন না। বাল্কহেডগুলোর সাথে এই পর্যন্ত অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে ঘনকুয়াশার মধ্যে খুবই সতর্ক থেকে লঞ্চগুলো চলাচল করছে।
বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত পরিবহন পরিদর্শক শাহ আলম জানান, চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিনি ৫০টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করে। ঘনকুয়াশার কারণে লঞ্চচলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। ঘনকুয়াশায় আমরা লঞ্চগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখি। যখন আকাশ পরিস্কার হয় তখন ছেড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। আর রাতের বেলায় বালু বাহি বাল্কডেহ চলালচ নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কেএস