Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

পাগনার হাওরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম


পাগনার হাওরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ও ভীমখালি ইউনিয়নের পাগনার হাওরের পূর্বপাড় মল্লিকপুর, ভান্ডা ও রাজাপুরসহ ১০ গ্রামের হাজারো কৃষকের ১৫শ’ একর বোরো জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সকালে এই ১০ গ্রামবাসীর আয়োজনে মল্লিকপুর হাওরের পশ্চিম কান্দায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দশ গ্রামের হাজারো কৃষক অংশগ্রহন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মালিক, আব্দুস সামাদ, মো. আক্তার হোসেন, শিহাব উদ্দিন, আফজল হোসেন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহিদুল ইসলাম, আরাফাত উল্ল্যাহ, মোস্তফা মেম্বার, আবুল কালাম, ইউপি মহিলা সদস্য ইনুফা আক্তার, মফিজুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য হোসেন আহমদ মো. নুরুল আমনি, করম আলী ও মারফত মিয়া প্রমুখ।

কৃষকরা বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই হাওরের লম্ববিল, বিনাজুড়া, লক্ষ্মীপুর কানাই খালী নদীর তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দশটি গ্রামের ১৫শ’ একর বোরো জমি অনাবাদি থাকায় এখানকার কৃষকরা মানবেতর জীবনযাপন করে আসলে ও দেখার যেন কেউ নেই। নির্বাচন আসলে তৃণমূল থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হন তারা জনগণকে আশ্বাস দেন নির্বাচিত হলে এই তিন কিলোমিটার মাঘ মাস পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে খননের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় নিয়ে আসবেন। তবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েই হাজারো কৃষকের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন পাগনার হাওরের পূর্বপাড় মল্লিকপুর, ভান্ডা ও রাজাপুরসহ দশ গ্রামের হাজারো কৃষকের ১৫শ’ একর বোরো জমির  জলাবদ্ধতা নিরসনের কোনো উদ্যোগে কেউ নেয়নি।
জানা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে এ হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য লম্বাবিল ও বালুচরা বিলের নালা দিয়ে ( ভাটির খাড়া) কানাইখালী নদী দিয়ে বিনাজুড়া-কামারগাঁও-লক্ষ্মীপুর ইনাতনগর হয়ে ফেনারবাকের মহিষাকুড়ির খাল হয়ে মূল পাগনার হাওরে পানি পতিত হতো। বিগত ৩০ বছর ধরে পলি পড়ে ভাটির খাড়া বা লম্বাবিলের মুখ থেকে প্রবাহিত খাল বা নালাটিসহ বীনাজুরা গ্রামের ব্রিজের পূর্বে কানাইখালীর অংশ প্রায় ৩ কিলোমিটার পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে এই হাওরের বোরো ফসল আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।

বিভিন্ন নামে প্রকল্প তৈরি করে নামকাওয়াস্তে কিছু কাজ হলেও স্থায়ী সমস্যার আজো কোনো সমাধান হয়নি বলে তারা দাবি করেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে পৌষ মাসের শেষ দিকে পানি নিস্কাশনের জন্য প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে টাকা তুলে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ করে চারা রোপণ করতে হয় এবং হাওরের উপরিভাগে কিছু অংশে মাঘ মাসে কিছুটা বোরো ধান আবাদ করা গেলেও অধিকাংশ জমি অনবাদি থেকেই যায়।  অবিলম্বে এই হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মেয়াজ্জেম হোসেন রতনের নিকট জোর দাবি জানান।

এআরএস

Link copied!