চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম
চট্টগ্রামের আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নিচতলায় অবস্থিত জেলা হাজতখানার সামনে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আসামি শামসুল হক (৬০)। আগের দিন বুধবার এক হাজার ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে চন্দনাইশ থানার পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার (৯ জানুয়ারি)।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৫ জানুয়ারি বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শামসুল হক বাচ্চু (৬০) নামে চন্দনাইশ থানার মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আদালতে কর্মরত ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে কার কী গাফিলতি ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। অবহেলার অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ জানুয়ারি চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ১ হাজার ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরদিন ৫ জানুয়ারি আদালতে পাঠানো হয় বাচ্চুকে। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামি বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেয়।
এদিকে, আসামি পালানোর ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম আদালতের সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পলাতক আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চুকে আসামি করা হয়।
টিএইচ