জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০১:০৪ এএম
চার বছর ধরে চলছিল তাদের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু তরুণীর পরিবার কিছুতেই তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি নয়। সম্পর্ক ভাঙতে মেয়েকে সৌদি আরবে নিয়ে যান বাবা। সেখানে তরুণীর অমতে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু মেয়েটি সংসার করতে পারেননি। ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের। এরপর দেশে এসেছেন মেয়েটি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুরনো প্রেমিকের সঙ্গেই ছেড়েছেন ঘর। আর রাতেই রাজশাহী শহরের একটি কাজি অফিসে বিয়ে করেন তারা। মঙ্গলবার সকালে স্বামীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)।
ফাতেমার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। তার স্বামীর নাম ফজলে রাব্বী (২৬)। তার বাড়ি রামচন্দ্রপুর বৌবাজার এলাকায়। রাব্বী ব্যবসা করেন। আজ সকালে নগরীর আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এই দম্পতি।
সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছি। কেউ জোর করে আমাকে বাড়ি থেকে আনেনি। এখন শুনছি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’
তার স্বামী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হত। তাই আমার কয়েকজন বন্ধু সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে আনে। তারপর রাতেই বিয়ে করেছি।’
রাব্বী বলেন, ‘এখন ফাতেমার পরিবার থেকে হয়তো অপহরণের মামলা করা হবে। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করবে। জেল খাটতে হবে। এর সবই জানি। সবকিছুর জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখছি। আস্থা রাখছি ফাতেমার ওপর। মামলা হলে ফাতেমা আদালতে গিয়ে বলবে যে কেউ তাকে অপহরণ করে আনেনি।’
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই ফাতেমার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। তারা অপহরণের অভিযোগ আনছেন। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দিতে এলে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে নিজের ইচ্ছায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সবকিছু আইনিভাবেই দেখা হবে।’