ধানের চেয়ে লাভ বেশি সরিষায়

বান্দরবানের লামা উপজেলারে একটি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চাষ হয়েছে সরিষা। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে সরিষার ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের চেয়ে সরিষা চাষে লাভ বেশি হবে বলে জানান কৃষকরা। তারা সরিষা ঘরে তুলেই বোরো ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করবেন।

জানা যায়, সরিষা চাষে একবিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ হাজর টাকা খরচ হয়। অথচ যদি ঠিকমত সরিষা ঘরে তোলা যায় তাহলে ৪ থেকে ৫ মণ হারে সরিষা পাওয়া যাবে। যার বাজার মূল্য ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা হবে।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া জানান, গত বছর এ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৭১ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আমাদের পরামর্শে ব্যাক্তিগতভাবেও অনেক কৃষক সরিষা চাষ করেছেন। যা গত বছরের চেয়ে এবার ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। মোট আবাদকৃত জমির মধ্যে ৭১ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি ১৮ ও বিনা ৯ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।
ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন এ চাষে ঝুঁকছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার নানাভাবে নগদ টাকা, সার,বীজ, কীটনাশকসহ প্রণোদনা দিয়েছেন।

উপজেলার দরদরি ব্লকের কৃষক মো. ইছহাক মিয়া জানান, অল্প খরচ ও সল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। 
তিনি ৫ থেকে ৬ কানি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি কানিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মোটামুটি ফলন হলেও কানি প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা  লাভ হবে।

জানা যায়, উপজেলায় ৩৫ জন কৃষক প্রদর্শনী , ৪৭ জন কৃষক বীজ ও ১৯০ জন কৃষক  প্রণোদনা সহায়তায়  সরিষার আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ বলেন, চলতি বছরে লামাতে ৭১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। অনুকূল আবাহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ অঞ্চলের প্রতিটি ব্লকের কৃষকেরা সরিষার ভালো ফলন পাবেন। প্রতিবছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। বাজারে সরিষার দাম বেশি থাকায় এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
 

এআরএস