টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, `ইজতেমায় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ১৬০ একর জায়গা খোলা মাঠ ইজতেমার জন্য দিয়েছেন। দেশ-বিদেশের আগত মুসল্লিরা যেন নিরাপদে ইজতেমায় অংশ নিতে পারে তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।`
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি দেখার জন্য মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের এডিশনার আইজিপি হাবিবুর রহমান, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিদেশি মুসুল্লিরা যেন ইমিগ্রেশনে কোনো জটিলতার সম্মুখীন হতে না হয়, আসার পথে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে সুগম হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা রেখেছি। তাদের সহায়তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত টুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে, কোন রাস্তা কখন খোলা বা বন্ধ থাকবে সেই নির্দেশনা দিয়েছি।
ইজতেমা প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, `আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ সেটা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, ইজতেমায় একপক্ষ অপরপক্ষকে সহযোগিতা করবে। আমি বিশ্বাস করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে উভয়পক্ষ আমাদের সহযোগিতা করবে। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, আমি তাদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।`
তিনি আরও বলেন, আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করব। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে। র্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে, ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোল রুম খুলবে, এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, অবজারভারভেশন টিম থাকবে, র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্রোল টিম, বোম ডিস্পোজাল টিম থাকবে। মোনাজাতের দিন সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাত ও জুমার নামাজ যাতে মুসুল্লিরা সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারে সেজন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা নির্ভয়ে ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের (জুবায়েরপন্থী) বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থী) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।
২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে। ২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।
টিএইচ