Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ধামরাইয়ে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ধামরাই প্রতিনিধি

ধামরাই প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৫:৩৭ পিএম


ধামরাইয়ে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এর মধ্যে ৯ জনকে আটকের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার (১৭জানুয়ারি) পাঁচ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০-১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে এ মামলায় সোমবার (১৬জানুয়ারি) বিএনপির মিছিল থেকে আটক আট নেতা-কর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় ১০ ঘণ্টা অবস্থান করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন। তাকেও এ মামলায় প্রধান আসামি করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল জব্বার।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ সিকদার, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিকাইল হোসেন, কুশুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই, আবুল হোসেন, লাবলু মিয়া, শরিফুল ইসলাম, মর্তুজ মিয়া ও আহম্মদ আলী।

এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ, শ্রীরামপুরের মহসিন, শাহীন, চন্দ্রাইলের বাবুল হোসেন, হাতকোড়ার আনোয়ার হোসেন, গোলাকান্দার আতাউর রহমান, ছোট আশুলিয়ার ফরিদ হোসেন, ছোট চন্দ্রাইলের আমিনুল ইসলাম সবুজ, ছয়বাড়িয়ার ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, আমবাগানের ফিরোজ বাবু, বাসনার ইসমাইল হোসেন সুমন, তালতলার রবিন হোসেন, ছোট চন্দ্রাইলের আনোয়ার হোসেন, বাগনগরের সোহেল, পাঠানটোলার খুররুম চৌধুরী টুটুল, কান্দাপাড়ার শাহজাহান, বালিথার সুলতান মুন্সী, সূতিপাড়ার শাহিন, মহসীন, গাঙ্গুটিয়ার সুনিল চন্দ্র সাহা, কৃষ্ণপুরা বাথুলীর আরিফ হোসেন, পাঠানটোলার অলিউর রহমান উজ্জল, কৃষ্ণপুরার আইয়ুব আলী, বরাটিয়ার জুলফিকার আলী, বালিথার শহিদুল ইসলাম, কালামপুর পূর্বপাড়ার মাহবুবুর রহমান খোকন, ডাউটিয়ার ফরিদ, বাদে গাওয়াইলের হারুন, বানেশ্বরের রশিদ, চরডাউটিয়ার জয়নাল আবেদীন, বাউখণ্ডের মনিরুল ইসলাম খান লাবু, বৈষ্টবদিয়ার নাছির উদ্দিন, সাইদপাড়ার মোখলেছ হোসেন, ভাড়ারিয়ার মোল্লাপাড়ার আবুল, ভাড়ারিয়ার মসজিদপাড়ার বায়েজিদ, ভুরাইলের ফরহাদসহ ৪৬ জন।

এই মামলার বাদী ধামরাই থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, মামলায় জব্দ তালিকায় সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি ব্যানার, তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল, চারটি স্প্লিন্টার রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা।

সোমবার বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিল বের করে। ওই সময় মিছিলকারীদের বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ওই সময় বিএনপির আট নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তমিজ উদ্দিন নেতা-কর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের গাড়িতে থানায় যান বলে জানান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম। এদিকে থানায় ১০ ঘণ্টা অবস্থান করার পর তাকেও মামলার প্রধান আসামি করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আটক ৯ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরএস

Link copied!