Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নাব্যসংকট

ফরিদপুর নদীবন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১০:০৬ এএম


ফরিদপুর নদীবন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা

ফরিদপুর নদীবন্দরে নাব্যসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

এদিকে, নদী খননের জন্য প্রায় এক মাস আগে দুটি ড্রেজার আনা হলেও একটি ড্রেজার আনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে।

আরেকটি কোনমতে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।

জানা যায়, পদ্মা নদীর ফরিদপুরের সিএ্যান্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালে নদীবন্দরে উন্নীত করা হয়। ফরিদপুর নদীবন্দরের এ ঘাটে ২০১৭ সাল থেকে ইজারা কার্যক্রম শুরু হয়।

তবে কাগজপত্রে বন্দরের উন্নীত করা হলেও কার্যত বন্দরের কোনো ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়নি। এমনকি জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌরুটেরও কোনো কাজ করা হয়নি।

ফলে গত প্রায় দুই মাস ধরে নাব্যসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে যে কোনো সময় জাহাজ চলাচল বন্ধের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বন্দরের সুবিধাভোগী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, নাব্যতা ফেরাতে মাসাধিকাল ধরে দুটি জাহাজ অত্র চ্যানেলে অবস্থান করলেও একটি ড্রেজার একদিনের জন্যেও চালানো হয়নি। অপরটি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

বন্দর সচল রাখতে খনন কাজের গতি নেই। আবার বিষয়টি দেখারও কেউ নেই বলে তাদের দাবি।

বন্দরটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। এছাড়া বর্তমানেও ট্রলারে করে মালামাল নেয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে তাদের।

এই রুটে চলাচলকারী জাহাজের নাবিক আতিয়ার রহমান বলেন, জাহাজ চলাচলে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির গভীরতা থাকার দরকার হলেও পদ্মা নদীর হাজীগঞ্জ থেকে ফরিদপুর নদীবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পানি পথে বর্তমানে পানির গভীরতা রয়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট। এতে বড় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মেসার্স মজিবর রহমান ট্রেডাসের স্বতাধিকারী মজিবর রহমান বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে চাল ও গমসহ ভারী পণ্যবাহী বড় জাহাজ চলাচল এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

পানি আরো শুকিয়ে গেলে ছোট-বড় সব ধরণের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তাদের।

বিআইডব্লিউটিএর’র আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ রহমান বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে দুটি ড্রেজার পাঠানো হয়েছে। একটি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ চলছে, অন্যটি চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারের পাশে রয়েছে।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেশনে না থাকায় সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি, বিধায় ওই ড্রেজারটি দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়নি। তারপরও এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ড্রেজার দুটি চালু করা হবে।

এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে থাকা ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এআরএস

Link copied!