হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১১:১৬ এএম
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১১:১৬ এএম
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইট তৈরি ও পোড়ানোর মৌসুমের শুরুতেই আবারও চালু করা হয়েছে দুটি অবৈধ ইটভাটা। ভাটাগুলো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
গতবছর অভিযান চালিয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। প্রায় তিন মাস ধরে পুনরায় ভাটাগুলো চালু হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলায় তিনটি ইটভাটা রয়েছে। তিনটি ভাটাই অবৈধ। ভাটা তিনটি উপজেলার বলড়া ইউনিয়নে অবস্থিত। ভাটাগুলো হচ্ছে সততা ব্রিকস, আমিন ব্রিকস ও স্বাধীন ব্রিকস।
সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের মার্চে মানিকগঞ্জসহ পাঁচ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের পরে গত বছরের ১৮ এপ্রিল সোমবার হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ভাটা তিনটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
চলতি বছরে ইট পোড়ানোর মৌসুম আসতেই আবার চালু করা হয়েছে সততা ও স্বাধীন ব্রিকস। প্রায় তিনমাস ধরে ভাটা দুইটিতে পুরোদমে চলছে ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ। নিষিদ্ধ হলেও ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রায় তিন মাস যাবত ভাটা চালু করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে।
সম্প্রতি সততা ও স্বাধীন ব্রিকসে গিয়ে দেখা যায়, দুুটি ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানো হচ্ছে। অর্ধশতাধিক শ্রমিক দুটি ভাটায় মাটি প্রস্তুত, ইট তৈরি, শুকানো এবং পোড়ানোর কাজ করছেন।
সততা ব্রিকসের মালিক ও বলড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোসলেম উদ্দিন খান কুন্নু বলেন, আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি। মামলা চলছে। আমরা ইট প্রস্তুত না করলে সরকারি কাজই তো চলবে না।
স্বাধীন ব্রিকসের মালিক শীতল চৌধুরী বলেন, ইটভাটায় আমরা চারজন অংশীদার। আমাদের ভাটার কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় গত বছর প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছিল। এ বছর আমরা সব কাগজপত্র ঠিক করতে পাঠিয়েছি। তবে এখনও পাইনি।
গত সোমবার মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুর আলম মুঠোফোনে আমার সংবাদকে বলেন, অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটের অপেক্ষায় আছি। আমরা প্রস্তুত আছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে চেয়েছেন। যেদিন ম্যাজিস্ট্রেট দিবেন, সেদিনই অভিযান পরিচালনা করবো।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, মানিকগঞ্জে মোট ১৭টি অবৈধ ইটভাটা আছে। সবগুলো ভাটা একসঙ্গে বন্ধ করার মতো আমাদের সামর্থ্য নেই। ইতোমধ্যে দুটি ভাটা বন্ধ করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাকিগুলোও বন্ধ করে দিবো। অবৈধ ইটভাটা চালানোর কোন সুযোগ নেই।
এআরএস