নীলফামারী প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম
নীলফামারী প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম
মিতালী এক্সপ্রেসের লাইট ইঞ্জিন ও খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় চিলাহাটি-ঢাকা রুটে বন্ধ থাকা ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডোমারের চিলাহাটিতে স্টেশন মাস্টারের গাফিলতিতে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিলাহাটি স্টেশনের আধা কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ট্রেনের চালকসহ কয়েকজন আহত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন কয়েক শত যাত্রী। এ ঘটনায় চিলাহাটি-ঢাকা রুটে প্রায় ৪ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ দিকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে স্টেশন মাস্টারের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয় ও ট্রেনের চালকরা। ঘটনার পর থেকে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার পলাতক রয়েছেন। দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- রূপসা এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার নাজমুল হক ও মিতালীর সহকারী লোকোমাস্টার মাজেদুর রহমান। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চিলাহাটি এলাকার রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল বেলা হঠাৎ বিকট শুনতে পেয়ে দৌড়ে এসে দেখি ইঞ্জিনটার দুইটা চালক পড়ে আছে। পরে আমি তাদের ভ্যানে করে হাসপাতালের পাঠিয়ে দেই। এদিকে এসে দেখি কয়েকজন আহত। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি, কেউ কেউ বাড়ি চলে গেছে।
রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার তাজুল ইসলাম বলেন, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইট ইঞ্জিনটাকে চিলাহাটির ভেতরে আগে রিসিভ করবে তারপরে আমাদের গাড়ি ছাড়ার অনুমতি দেবে। কিন্তু স্টেশন মাস্টার ওই মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইট ইঞ্জিনকে রিসিভ না করেই আমাদের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। আমরা তো জানি না সামনে গাড়ি আছে। আমরা অনুমতি পেয়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। ছেড়ে দেওয়ার পর কুয়াশার কারণে ওই ইঞ্জিন দেখা যায়নি। কাছাকাছি এসে যখন দেখা গেছে তখন ব্রেক করতে করতে ধাক্কা লেগে যায়।
দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চিলাহাটি স্টেশনে গিয়ে স্টেশন মাস্টারকে পাওয়া যায়নি।
পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের লোকোমোটিভ ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম বলেন, মিতালি এক্সপ্রেস যে ট্রেনটি সেটি ডোমার স্টেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়েই এসেছে। আর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও চিলাহাটির এক্সপ্রেস থেকে অনুমতি নিয়েই ছেড়েছে। এখানে যে সিগনালের ভুল হয়েছে এটা নিশ্চিত। আমরা একটি লোকোমোটিভ নিয়ে এসেছি উদ্ধারে কাজ করেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কেএস