Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪,

রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিস

‘স্যার অফিসে নেই, দরজা ধাক্কা দিবেন না’

রাউজান (চট্টগাম) প্রতিনিধি

রাউজান (চট্টগাম) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম


‘স্যার অফিসে নেই, দরজা ধাক্কা দিবেন না’
রাউজানে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কক্ষের সামনে ‍‍`স্যার অফিসে নেই। দয়া করে দরজা ধাক্কা দিবেন না‍‍` লেখা সম্বলিত একটি একটি বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কক্ষের সামনে ‘স্যার অফিসে নেই। দয়া করে দরজা ধাক্কা দিবেন না’ লেখা সম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে গত কয়েকদিন ধরে। এতে ফিরে যেতে হচ্ছে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সংশোধন করতে আসা লোকজনকে।

চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শ্বশুর মারা যাওয়ায় সোমবার থেকে অফিস করছেন না রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম এ কাদের।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় সেবাপ্রার্থী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে। তাদের একজন রাউজানের শেষপ্রান্ত বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. মিন্টু।

তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড করতে পারেননি। তিনি ভোটার নিবন্ধন ফরম জমা দিতে এসে ‘স্যার অফিসে নেই। দয়া করে দরজা ধাক্কা দিবেন না’ লেখাটি দেখে অফিসে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা না আসা পর্যন্ত জমা দেয়া সম্ভব নয়।

ইমরান নামে সুলতানপুর জান আলী মুন্সির বাড়ির এক যুবক এনআইডি সংশোধনের জন্য এসে ফিরে যান।

পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রাশেদ বলেন, আমার নিকটতম প্রবাসী আত্মীয়ের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে সকল ডকুমেন্ট প্রদান করার পরও হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত দুইবার এসেও কাজ হয়নি। আবারও রোববার আসতে বলছে।

মো. আরফাত নামে এক তরুণ জানান, একটি অক্ষর ‘এ’ সংশোধনের জন্য উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন থেকে এ পর্যন্ত তিনবার এসে ফিরে যেতে হয়েছে। এক ধরনের হয়রানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুধু তারা নয়, সেবা না পেয়ে প্রতিদিন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার শত শত মানুষ। কোনদিন থেকে এই কর্মকর্তাকে পাওয়া যাবে তা অনিশ্চিত। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রির দায়িত্বে থাকা রকি বলেন, স্যারের শ্বশুর মারা গেছেন। তিনি ছুটিতে আছেন। গত সোমবার থেকে তিনি অফিসে আসছেন না। কখন আসবেন তার নির্ধারিত তারিখ জানাতে না পারলেও আগামী সপ্তাহে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলিত দায়িত্ব)  রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, উনার শশুর মারা গেছেন বলে শুনেছি। হয়ত তিনি ছুটিতে আছেন। 

উল্লেখ্য, তিনি গত ১৮ ডিসেম্বর রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সন্দীপ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন।

এআরএস

Link copied!