পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
গাজীপুরের পূবাইলে বলৎকার এর সময় চিৎকার দেয় শিশু শিহাবকে (৬)হত্যা করে মুরগি চাচ্চু নাসির মিয়া (২৮)। হত্যার দেড় বছর পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নাসির হত্যার কথা স্বীকার করে গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) গাজীপুর পিবিআই`র পুলিশ সুপার এসপি মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিষয় নিচ্ছিত করেছেন।
পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গাজীপুর মহানগরীর মাজুখান বাগেরটেক এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় ফারুকের মুরগী ও ফিডের দোকানে কাজ করতো আসামি নাসির মিয়া। অন্য মুরগী দোকানে এসে ফিড খেয়ে ফেলার সময় মুরগী তাড়ানোর জন্য নাসির খেলনা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়তো। পাশের গলির জুয়েলের ছেলে শিহাব মাঝেমধ্যে ওই দোকানে এসে শিহাবের সঙ্গে খেলা করতো এবং গুলি কুড়িয়ে দিতো। নাসিরকে মুরগি চাচ্চু বলে ডাকতো শিহাব।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ২৫ নবেম্বর দুপুরে নিখোঁজ হয় শিহাব। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন মাজুখান এলাকার একটি বাড়ির সামনে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে জিএমপির পূবাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের দাদী বাদী হয়ে মামলা করেন। পূবাইল থানা পুলিশ এ হত্যা কাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় এর তদন্তভার পিবিআইয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় তদন্তের পর শিশু শিহাব হত্যায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নাসির মিয়াকে গ্রপ্তার করে।
আসামির বরাত দিয়ে পিবিআই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার দিন নাসির ভাড়া বাসার কক্ষে ল্যাপটপে নীল ছবি দেখছিলেন। ওইদিন দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ভিকটিম শিহাব নাসিরের কক্ষে আসে। তখন নাসির শিহাবকে বলাৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়। একপর্যায়ে শিশুর মুখ চেপে ধরলে তার দেহ নিথর-নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে তার মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দরজা লাগিয়ে নাসির বাইরে চলে যায়। ওইদিন ভোর রাতে শিহাবের মরদেহ সালাম মুন্সীর বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। ঘটনার তিনদিন পর নাসির এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যায় এবং দুই দিন পরে চট্টগ্রাম থেকে ফিরে আসে। এক সপ্তাহ পর নাসির আবার ৪০ দিনের জন্য চিল্লায় চলে যায়।
কেএস