বাসচাপায় নিরাপত্তা প্রহরী নিহত, সড়ক অবরোধ-যানবাহন ভাংচুর

গাজীপুরের কালিয়াাকৈরে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহীবাসের নিচে চাপা পড়ে আজাদুল ইসলাম (৪৫) নামে পোশাক কারখানার এক নিরাপত্তা প্রহরী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও ৪জন পোশাক শ্রমিক। 
রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স কারখানার সামনে এদুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নিরাপত্তা প্রহরী আজাদুল ইসলাম গাইবান্দা জেলার, গবিন্দগঞ্জ থানার আমগাঁও গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র। সে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স নামে একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে কর্মরত ছিল। 
জানা যায়,  রোববার সকালে আজাদুল ইসলাম বাসা থেকে তার কর্মস্থল মাহমুদ জিন্স কারখানায় যাওয়ার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রাস্থ মাহমুদ জিন্স কারখানার সামনে পৌছায়। একপর্যায়ে উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে দ্রুত মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগ্রামী যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মাহমুদ জিন্স পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী আজাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত ও আরও ৪জন শ্রমিক মারাত্বক আহত হয়।

এ খবর পেয়ে মাহমুদ জিন্সসহ পার্শ্ববতি কারখানার বিক্ষোব্দ শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অপরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোব্ধ শ্রমিকরা পাথর ভর্তি একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মহসড়কে চলাচলকারী শতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সালনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সালনা হাইওয়ে ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ টানা সাড়ে তিন ঘন্টা প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।

এআরএস