Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম


প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে উগ্র আচরণ, কারণে অকারণে নির্মমভাবে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনাটি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এর আগে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে স্কুল চলাকালিন সময়ে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই হালিমা আক্তার (৫) নামে প্রাক প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে মারধর করেন প্রধান শিক্ষিকার ৭ বছর বয়সি মেয়ে রাহি। 
হালিমার অভিভাবকরা মারধরের প্রতিবাদ করলে উল্টো প্রধান শিক্ষিকা তাদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্ছিত করে এক পর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলার জন্য এগিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রায় দুই ঘন্টা স্কুলের ভিতরে প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্বার করে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন মির্জা সোবহানা।

অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, মির্জা সোবহানা ওই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা, শিক্ষার্থীদের সাথে উগ্র আচরণ, তার মেয়ে কর্তৃক আমাদের সন্তানদের মারধর, অকারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করার প্রতিবাদ করায় অভিভাবকদের মিথ্যা মামলার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করায় তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন তারা। 

মানববন্ধন শেষে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। অভিযোগের বিষয়ে চানতে চাইলে উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানা বলেন, এগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ বলেন, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে সরেজমিন তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্তে প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।

কেএস 

Link copied!